ফরিদপুরের চরাঞ্চলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদাম চাষ, অল্প বিনিয়োগে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছেন জেলার কৃষকরা, কৃষি বিভাগ বলছে গেলো বছরের তুলনায় শুধুমাত্র সদরপুর উপজেলাতেই এবছর ১৩০ হেক্টর বেশি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে।

ফরিদপুরের চরাঞ্চলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদাম চাষ, অল্প বিনিয়োগে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছেন জেলার কৃষকরা, কৃষি বিভাগ বলছে গেলো বছরের তুলনায় শুধুমাত্র সদরপুর উপজেলাতেই এবছর ১৩০ হেক্টর বেশি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে।

বর্তমানে চলমান তাপদাহ উপেক্ষা করে বাদাম ক্ষেত পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।কৃষকেরা বলছেন, চরাঞ্চলে চাষ হওয়া অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে লাভ বেশি ও বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে বাদাম চাষে।আবহাওয়া অনুকলে থাকলে চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। তবে সারাদেশে চলমান প্রচন্ড তাপদাহ ও খরায় ফলন কিছুটা খারাপ হলেও বৃষ্টিপাত শুরু হলে ভালো ফলন হতে পারে বলে আশঙ্কা চাষীদের।

সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া, চর বিষ্ণুপুর, চর মানাইর, আকোটের চর, ঢেউখালী ও চর নাসিরপুর এলাকায় বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। শুধুমাত্র সদরপুর উপজেলাতে এ বছর ৩ হাজার ২৮২ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে।

সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় জেলার চরাঞ্চলের কৃষকদের বাদাম চাষের উদ্বুদ্ধ করাসহ সার্বিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়বে সবার। এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।