বিভিন্ন সময়ে সরকারি রাস্তায় ভুট্টা, ধানসহ রবি শস্য শুকাইতে দিলে বিভিন্ন সময় যানবাহন দূর্ঘটনার স্বীকার হয়

বিভিন্ন সময়ে সরকারি রাস্তায় ভুট্টা, ধানসহ রবি শস্য শুকাইতে দিলে বিভিন্ন সময় যানবাহন দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। ঘটনার দিন ১১/০৫/২০২৫ ইং তারিখ অনুমান ১১:৩০ ঘটিকার সময় আমি সহ মোট ০৩ জন বিবাদীগণের বসতবাড়ির সামনে সরকারি পাঁকা রাস্তা দিয়ে ধীরগতিতে মটর সাইকেল চালাইয়া যাওয়ার সময় বিবাদীদের দেওয়া রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভুট্টার কারণে আমরা মোটর সাইকেল থেকে পড়ে আহত হই এবং গাড়ির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ব্যাপারে বিবাদীগণের সঙ্গে আলোচনা করিতে গেলে বিবাদীগণসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন বিবাদী আমাদের উদ্দেশ্য করিয়া অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করিতে থাকে। আমি, আমার সঙ্গে মোঃ রবিউল আমিন নিরব (১৮), মো: ফেরদৌস আলী (১৮) গালি-গালাজ সংক্রান্ত নিষেধ করিলে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের কাড়াল দিয়া আমাদেরকে এলোপাতারি মারপিট করিয়া হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা-ফোলা জখম করে এবং সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমনকি যেকোনো মামলায় ফাসাইয়া জেল হাজত খাটাইবে মর্মে প্রকাশ্যে ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে। ঘটনার বিষয়ে উপস্থিত সাক্ষী ১।মোঃ মেহেদী হাসান (১৮) ফোন নং- ০১৩০৫-১১৮৫২৬ পিতা-মৃত-আঃ মতিন, ২।মোঃ শামীম হোসেন (১৮) ফোন নং-০১৯৯৬-৫৯৭৪৪০ পিতা-মোঃ লিটন মিয়া, উভয় সাং-সদাগড় ইউপিঃ রাজারহাট থানাঃ রাজারহাট জেলাঃ কুড়িগ্রাম সহ অনেকে আগাইয়া আসিয়া সমস্ত ঘটনা দেখিয়াছেন ও শুনিয়াছেন। আমরা অসুস্থ অবস্থায় রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাইয়া প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মহোৎগণের সহিত আলোচনা করিয়া অভিযোগ করতে বিলম্ব হয়েছে। পরবর্তীতে এই বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ভূমিকা পালন না করায় গত ১৩/০৫/২০২৫ ইং তারিখে শহিদুল মেম্বারের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়ন পরিষদে এক শালিস মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিল জামাতের আমির কফিল উদ্দিন, ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আশিকুল আলম টুটুল সহ আরও অনেকেই গণ্যমান্য ব্যক্তি। মিটিংয়ে তারা দাবি তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও এবং রাস্তায় বের হলে আক্রমণ করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে। তারা একতরফা মিটিং চালিয়ে যাচ্ছিলো। এরূপ অন্যায় দেখে আমি আবদুল্লাহ আল মামুন নিজ মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে যাওয়ায় মোঃ আশিকুল আলম টুটুল এর উদ্দ্যোগে আমি এবং আমার সহিত সেখানে উপস্থিত লোকজনকে প্রভাব খাটিয়ে লাঠি দিয়ে আমাদের এলোপাতারি মারপিট করিয়া হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধুম্বার মার মারে। তালাবদ্ধ ঐ কক্ষে মারধরের পর জোরপূর্বক আমাদের দ্বারা রেজুলেশনে স্বাক্ষর নিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে। এরপরে তার নেতৃত্বে আমার বাসার সামনের রাস্তায় ছাত্রদলের কিছু ছেলে শোডাউন দেয়। সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ভিডিওটি আছে। মিটিং শেষে সন্ত্রাসীরা আমার বাসায় এসে জোরপূর্বক আমার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেক টাকা নিয়ে যায়।স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি