জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্রমাগত ধর্ষণের পর ঔষধ খাইয়ে সাত মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা ওই কিশোরীর গর্ভপাত করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক জাহিদুল ইসলাম (২৩) কে গ্রেপ্তার করেছে জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি- ১)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের নাথেরপাড়া গ্রামের সোহেল রানার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে প্রতিবেশী সাইদুর রহমানের বিবাহিত পুত্র জাহিদুল ইসলাম গত বছরের ১২ আগস্ট দুপুরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নির্মানধীন ভবনের ভেতর নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর থেকে জাহিদুল ইসলাম ওই কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ক্রমাগত ধর্ষণ করতে থাকে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী একপর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেলে ধর্ষক জাহিদুল ইসলাম তার ছোট বোন সুর্বণা আক্তারের সহযোগীতায় কিশোরীকে গর্ভপাতের উদ্দেশ্যে কৌশলে ঔষুধ খাওয়ায়। পরবর্তীতে গত ১১ এপ্রিল ওই কিশোরী সাত মাসের মৃত পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। বর্তমানে গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় ওই কিশোরী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জামালপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি- ১) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাজমুস সাকিব বলেন, গত ১২ এপ্রিল নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পিতা সোহেল রানা বাদী হয়ে ধর্ষক জাহিদুলের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি- ১) ছায়া তদন্ত শুরু করে ও বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার টাওয়ার মার্কেট এলাকার খোকন মিয়ার বাড়ীতে অভিযান চালায়। দীর্ঘ ১৩ ঘন্টা অভিযান পরিচালনার পর গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ধর্ষক জাহিদুল ইসলামকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া জানান, গোয়েন্দা পুলিশ সরিষাবাড়ী থানায় আসামীকে হস্তান্তর করেছে। আজ শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।