গত জুন মাসে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কে সভাপতি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক একেএম মাসউদুর রহমান কে সাধারণ সম্পাদক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন না হওয়ায় ও কার্যকরী কোন কমিটি না থাকায় দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেডের বেতন নিয়ে বিড়ম্বনায় পরেছেন চার শিক্ষক-শিক্ষিকা। শিক্ষক-শিক্ষিকা রা হলেন, খোদেজা বেগম, বিএম হানিফ মিয়া, লিপিকা রানী গোপ ও আসমা আক্তার। তাদের অবসর গ্রহনের সময় ঘনিয়ে আসলেও তারা পাচ্ছেন না দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেডের বেতন। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, গত নির্বাচনের পর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে এস.এম সোহরাব হোসেন ১২-০৮-২০১৮ তারিখে কমিটি অনুমোদন পায়। এর পর এস.এম সোহরাব হোসেন ১২-০৮-২০১৮ থেকে ১১-৮-২০২০ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পর পর ৩ বার এডহক কমিটি গঠন করা হয়। যার মেয়াদ ০৭-০৯-২০২০ থেকে ০৩-০৩-২০২১, ১১-০৪-২১ থেকে ১০-১০-২১, ১৩-১১-২১ থেকে ১২-০৫-২২ পর্যন্ত। করোনা পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলে ভোটার তালিকায় বিভিন্ন অনিয়ম থাকার কারনে বন্ধ হয়ে যায় নির্বাচন।

পরে আবারও এস.এম সোহরাব হোসেনকে সভাপতি করে এডহক কমিটি করা হয়।কাগজ কলমে কমিটি হলেও কমিটি নির্বাচন নিয়ে কোন কার্যক্রম গ্রহন করে নি। ফলে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পরেছেন বিপাকে। তাদের এই দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেডের বেতনের সাথে রয়েছে পেনশনের যোগসাজশ। প্রধান শিক্ষক একেএম মাসউদুর রহমানের ব্যাক্তিগত রোশানলে থাকায় এই শিক্ষকদের কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত জুন মাসে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কে সভাপতি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক একেএম মাসউদুর রহমান কে সাধারণ সম্পাদক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়। এতে শিক্ষক প্রতিনিধি হয় জিনিয়া সরকার ও অভিবাবক প্রতিনিধি হয় সিরাজদিখান থানার এস.আই শেখ বিল্লাল হোসেন। তবে কমিটি অনুমোদনের ১ মাসের বেশী সময় পেরুলেও কোন মিটিং এখন পর্যন্ত করতে পারেনি কতৃপক্ষ।

খোদেজা বেগম বলেন, আমি ১১-০৯-২২ এ দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেডের জন্য আবেদন করি। আমাকে এখনো এই স্কেল দেয়া হয় নি। তিনি আক্ষেপের সুরে আরও বলেন, আমি কোন মিডিয়ার লোকদের সাথে কথা বলতে চাই না। এতে করে আমাকে কোন না কোন ভাবে প্রেশার দেয়া হবে। আসমা আক্তার বলেন, আনুমানিক ৪ মাস আগে আমি আমার আবেদন জমা দিয়েছে কিন্তু এখনো কোন কিছু হয় নি। যেহেতু কমিটি নেই তাই রেজুলেশন ছাড়া তো আর কোন কাজ সম্ভব না। তাই হচ্ছে না। এ বিষয়ে রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক একেএম মাসউদুর রহমান বলেন, আমাদের নতুন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি দেশের বাইরে আছেন। তিনি আসলেই আমরা একটা মিটিং করে তাদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো। এবিষয়ে রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল আলম তানভীর দেশের বাইরে থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।