ঢাকা-জর্ডান-সিরিয়া রুটে বিশেষ এই ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। ত্রাণসহায়তার মধ্যে থাকবে বড় তাঁবু, ছোট তাঁবু, কম্বল, সোয়েটার, শুকনা খাবার ও ওষুধ। এই মিশনের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন জামিল উদ্দিন আহমেদ। বিমানটি বাংলাদেশ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সিরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবে এবং সিরিয়ায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর পর বিমানটি পুনরায় বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং এতে প্রচুর জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার নিহত হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট খাদ্য ও পানি সংকট, বাসস্থান সংকট ও জরুরি চিকিৎসাসেবার অভাবে দেশ দুটিতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এর আগে তুরস্কে ৪৬ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সেখানে আছেন সেনাবাহিনী থেকে ২৪ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল, ১০ জনের একটি মেডিক্যাল টিম এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১২ সদস্য। দলটি জরুরি ত্রাণ এবং চিকিৎসাসামগ্রীসহ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০-জে পরিবহন বিমান দিয়ে তুরস্কের আদানা সাকিরপাশা বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।