কাঁচা মরিচের কেজি তিনি ১০০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এতে আগে ক্রেতারা আধা কেজি পরিমাণে কিনলেও এখন কেউ ১০-২০ গ্রাম আবার কেউ ১০০ গ্রাম কিনছেন।

সিলেটের খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে কেজিতে ৬০০-৭০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা মরিচ। হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক ধরে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে ঈদেও আগের দিন থেকে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১ হাজার টাকায় পৌঁছায়। ১০ দিন আগেও ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছিল। এরপর দাম বাড়তে শুরু করে। এ কারণে ক্রেতারা কাঁচা মরিচ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন।

আগে যেখানে ক্রেতারা কেজি পরিমাণে কিনতেন, সেখানে ২০০ গ্রাম কিংবা ১০০ গ্রাম কিনছেন এখন। এ ছাড়া ভাসমান সবজির ব্যবসায়ীরা ৫০ গ্রাম থেকে ২০ গ্রাম করেও কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন। নগরের জল্লারপাড় এলাকায় ভাসমান সবজি ব্যবসায়ী কয়েছ মিয়া বলেন, পাইকারি বাজার থেকে এনে তাঁরা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও ফুটপাতে সবজি বিক্রি করেন। কাঁচা মরিচের কেজি তিনি ১০০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এতে আগে ক্রেতারা আধা কেজি পরিমাণে কিনলেও এখন কেউ ১০-২০ গ্রাম আবার কেউ ১০০ গ্রাম কিনছেন।

বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে দাম শুনে হতভম্ব হয়েছেন জানিয়ে ভাতালিয়া এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি কাঁচা মরিচ তিনি নিয়ে গেছেন ১৫০ টাকায়। কিন্তু এখন হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০০ গ্রাম কিনেছেন। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, কোরবানির বাজারকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করছেন। প্রতিবছর রোজার ঈদে কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম বাড়ে। কিন্তু এবার বেড়েছে কোরবানির ঈদে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা মরিচ সিলেটে চাষাবাদ হয় না। এখানকার বাজারে যে কাঁচা মরিচ পাওয়া যায়, সবই সিলেটের বাইরে থেকে আড়তে নিয়ে আসা হয়। বেশির ভাগ মরিচ আসে বগুড়া থেকে। বর্তমানে সেখানে দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে সিলেটের বাজারে।