আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা ২০২৫ যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপন নিশ্চিত করতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা ২০২৫ যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপন নিশ্চিত করতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করাসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এ সভায় আলোচনা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিডি এলজি মোহাম্মদ রেজাউল করিম। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল।
সভায় উপস্থিত ছিলেন: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোশারফ হোসেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম, জেল সুপার মাঈন উদ্দিন, সহকারী কমিশনার নাসরিন আক্তার ও সাবিবুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদের সাধারণ সম্পাদক নুরুর রব চৌধুরী, তেঘরিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি বদরুল আলম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল -
ঈদগাহ মাঠসমূহ পরিচ্ছন্ন রাখা এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিকল্প হিসেবে মসজিদে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি। সরকার অনুমোদিত পশুর হাট ছাড়া অন্য কোথাও হাট না বসানো। পশুর হাটে জাল নোট প্রতিরোধে প্রশাসনের নজরদারি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। হাটে সরকার নির্ধারিত হারে হাসিল আদায় এবং মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে টাঙানো নিশ্চিত করা। কোরবানির পশুর চামড়া সঠিকভাবে ছাড়ানো, সংরক্ষণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি অনুসরণ।
সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া সংগ্রহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা ও সংগঠনগুলোকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহের সিদ্ধান্ত।
চামড়া কমপক্ষে ১০ দিন স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণ করে পরে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় প্রেরণের নির্দেশনা। সীমান্তবর্তী হাটগুলোতে নজরদারি জোরদার করে ভারত থেকে অবৈধ পশু আমদানি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। জেলার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা নির্ধারণে জরিপ পরিচালনার জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান। সভায় এবারের ঈদুল আযহায় চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং পূর্বের তুলনায় মূল্য বৃদ্ধির আশ্বাসও দেওয়া হয়। সভা শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, সংস্থা ও নাগরিকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়, যাতে পবিত্র ঈদুল আযহা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হয়।##