দেশের সরকারের দায়িত্বে যখন যে দল অবস্থান করে, তখন এই আবুল কাশেম মেম্বার সেই দলের পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে। এই আবুল কাশেম মেম্বারের নির্বাচনী এলাকা চরজব্বর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সহ পুরো চরজব্বর ইউনিয়নে তার নামে রয়েছে অসংখ্য দূর্নীতি ও সাধারণ মানুষের জায়গা-জমি জবর-দখলের অভিযোগ.

 বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাভাবের প্রভাবে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন যাত্রার মান যখন টালমাটাল পরিস্থিতি।তখনি দেশের সাধারণ জনগণের নামে বরাদ্দকৃত সরকারের ভিজিএফ কর্মসূচির সরকারি চাউল আত্মসাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নোয়াখালী সূবর্ণচর উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড (পশ্চিম চরজব্বরের) এর বর্তমান মেম্বার ও চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম। সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই জনগণের নামে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কর্মসূচির বরাদ্দকৃত চাউল ও জেলেদের নামে আসা চাউলের কার্ড নিজের মন গড়া মতো তার বাড়ির জন্য নিয়ে যান। চরজব্বর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এর মেম্বার ও চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মূলত একজন সুবিধাবাদী ব্যক্তি। দেশের সরকারের দায়িত্বে যখন যে দল অবস্থান করে, তখন এই আবুল কাশেম মেম্বার সেই দলের পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে। এই আবুল কাশেম মেম্বারের নির্বাচনী এলাকা চরজব্বর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সহ পুরো চরজব্বর ইউনিয়নে তার নামে রয়েছে অসংখ্য দূর্নীতি ও সাধারণ মানুষের জায়গা-জমি জবর-দখলের অভিযোগ । 

২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড থেকে সাধারণ মেম্বার পদে নির্বাচন করে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয় আবুল কাশেম। ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড এর মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার যেনো কপাল খুলে যায়। মেম্বার পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই আবুল কাশেমের ঝুঁলিতে জমা পড়ে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব । ওয়ার্ড মেম্বারের পাশাপাশি প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর আবুল কাশেম যেনো অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান্য সাধারণ ওয়ার্ড মেম্বাররা যেনো আবুল কাশেমের ধারে কাছেও ঘেঁষার সুযোগ পান না । চরজব্বর ইউনিয়নে কান পাতলেই শুনা যায়, মেম্বার আবুল কাশেম চরজব্বর ইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুকের কাছের মানুষ ও তার বিশেষ আর্শিবাদ পুষ্ট হওয়ায়, ইউনিয়ন পরিষদে আসা যেকোনো সরকারি বরাদ্দ খুব সহজেই পেয়ে যান তিনি । চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান্য ওয়ার্ডের দায়িত্ব থাকা মেম্বারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্যানেল চেয়ারম্যান তথা ৬নং ওয়ার্ড এর মেম্বার আবুল কাশেম সবকিছুতেই একটু বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুকের কাছ থেকে । ইউনিয়ন পরিষদে আসা যেকোনো বরাদ্দের সিংহ ভাগই চলে যায় মেম্বার আবুল কাশেমের পকেটে।

 চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদে পাঁচ লক্ষ্য টাকার বেশি কোনো প্রকল্প আসলে, সেটি মেম্বার আবুল কাশেমকেই দিয়ে দেন ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুক । ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুকের সাথে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কাশেমের মধ্যে এমন শখ্যতার কারণ জানতে চাইলে আমাদের সাথে দুজনের কেউই এবিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি ।   চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৬নং ওয়ার্ড (পশ্চিম চরজব্বর) এর মেম্বার আবুল কাশেম শুধুমাত্র সরকারি ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ করেই ক্ষান্ত নন, তিনি চরজব্বর ইউনিয়নে একজন ভূমিদস্যু হিসেবেও অনেকটা পরিচিতি লাভ করেছেন। মেম্বার আবুল কাশেমের ভূমিদস্যুতার বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকার একাধিক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ করে বলেন, এই ভূমিদস্যু মেম্বার আবুল কাশেম আমাদের জন্য আসা চাল চুরি করে খাওয়ার পাশাপাশি এখন আমাদের শেষ অবলম্বন জায়গা-জমি টুকুও খেয়ে ফেলতেসে । মেম্বার আবুল কাশেমের কাছে আমরা রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করে বেঁচে আছি । 

এলাকার স্থানীয় জন-সাধারণ আরো অভিযোগ করে বলেন, মেম্বার আবুল কাশেম সাধারণ মানুষের জমি জবর-দখল করে নিজের নামে দলিল বানিয়ে ভোগ দখল করতেছে । তার এসব অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুকের কাছে একাধিকবার নালিশ করা হলেও তার কোনো প্রতিকার কখনো পায়নি সাধারণ মানুষ । এদিকে সরকারি কর্মসূচির ভিজিএফ চাল আত্মসাৎ, জেলেদের চালের কার্ড আঁটকিয়ে রেখে পরবর্তীতে তা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা এবং টাকা দিতে না পারলে সেই কার্ড আত্মসাৎ করা, অন্যের জমি নিজের নামে করিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ করলে মেম্বার আবুল কাশেম ও তার ছেলেরা সেই সব ভুক্ত-ভোগীদের হামলা-মামলার হুমকি ধমকি দিয়ে চুপ করিয়ে রাখে ।  ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের একটাই দাবী, রক্ষকের আসনে বসে ভক্ষণ করা ইউপি মেম্বার আবুল কাশেমের মতো একজন ভক্ষকের ভয়াল ছোবল থেকে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসবে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন সহ স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পুলিশ প্রশাসন ।