গত এক মাসে ৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগিকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নীলফামারী জেলায় গত এক মাসে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী এডিস মশা ও জীবাণু দুটোরই সমন্বয়ে রোগটি সুস্থ মানুষের শরীরে ছড়ায়। ধারণা করা হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এডিস মশার প্রকোপ ছড়িয়েছে। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডেঙ্গু রোগী রবিউল ইসলাম। তিনি ঢাকা শহরের উত্তরায় ৭নং সেক্টরের একটি কোম্পানিতে আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর গ্রামে।

ইতিমধ্যে এ হাসপাতালে গত এক মাসে ৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগিকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নীলফামারী জেলায় গত এক মাসে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। বর্তমানে এ জেলায় ৬ জন চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে গত ১১ জুন দুইজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আসেন। এরপর ২৪ জুন একজন, ২৮ জুন একজন, ৩০ জুন একজন, ২ জুলাই দুইজন, ৫ জুলাই দুইজন, ১১ জুলাই একজন, ১৪ জুলাই একজন, ১৫ জুলাই একজন ও ১৬ জুলাই দুইজন রোগী আসেন।

এছাড়া ১৩ জুলাই জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন, ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, ১৫ জুলাই সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজনসহ গত এক মাসে ১৯ জন রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ১৩ জন চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ছয়জন।