শিক্ষাজীবন শেষ করে গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় থেকে তাঁরা বেরিয়ে গেছেন ৫২ বছর আগে। কেউবা কর্মজীবনেরও পাট চুকিয়ে অবসরে আছেন। এখনও তাঁদের কেউ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় দায়িত্ব পালন করছেন। কেউবা সংসারের হাল ধরে রেখেছেন এখনও। তাঁরা সবাই স্মৃতির টানে সমবেত হয়েছিলেন, মিলেছিলেন প্রাণের বন্ধনে।মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘বন্ধু আড্ডা’ শিরোনামে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মেতেছিলেন গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের স্বাধীনতাত্তোর প্রথম এসএসসি ব্যাচ ৭২’র শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষাজীবন শেষ করে গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় থেকে তাঁরা বেরিয়ে গেছেন ৫২ বছর আগে। কেউবা কর্মজীবনেরও পাট চুকিয়ে অবসরে আছেন। এখনও তাঁদের কেউ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় দায়িত্ব পালন করছেন। কেউবা সংসারের হাল ধরে রেখেছেন এখনও। তাঁরা সবাই স্মৃতির টানে সমবেত হয়েছিলেন, মিলেছিলেন প্রাণের বন্ধনে।মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘বন্ধু আড্ডা’ শিরোনামে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মেতেছিলেন গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের স্বাধীনতাত্তোর প্রথম এসএসসি ব্যাচ ৭২’র শিক্ষার্থীরা।

‘আমরা ক’জনা’ সংগঠনের ব্যানারে পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয় শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গাইবান্ধার চারতারকা রিসোর্ট এসকেএস ইন্-এ। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় এসকেএস ইন্ বালাসী কনভেনশন হলে। এরপর বন্ধুদের কোলাহলে মুখর হয় সুইমিংপুল চত্বর। দীর্ঘদিন পর প্রাণের স্কুলের সহপাঠীদের পেয়ে আনন্দ-উচ্ছাতসে মেতে ওঠেন তাঁরা। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শুরু হয়ে দুই পর্বে ‘বন্ধু আড্ডা’ শেষ হয় রাত ৯টায়। এসকেএস ধিঃবৎ ঢ়ষধঃব উন্মুক্ত স্থানে আয়োজনের ১ম পর্বে ছিলো রেজিস্ট্রেশন, চা কিংবা কফি পানের সাথে পারস্পরিক আলাপচারিতা, স্যূভেনির বিতরন ও নামাজ আদায় এবং এসকেএস ইন্ বালাসী কনভেনশন হলে বন্ধু আড্ডার ২য় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের স্বাধীনতাত্তোর প্রথম এসএসসি ব্যাচ ৭২’র সংগঠন ‘আমরা ক’জনা’-এর সভাপতি ডা. মো. ফেরদৌস হোসেন মঞ্জু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘আমরা ক’জনা’-এর সাধারণ সম্পাদক এহতেশাম রফিক। বন্ধু আড্ডার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর সভাপতির স্বাগত বক্তব্য শেষে সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক কার্যক্রমের উপর বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রয়াত সহপাঠী বন্ধুসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মো. আব্দুর 
রশীদ সরকার । এরপর দুইজন অসুস্থ সহপাঠী বন্ধুকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। তারপর শুরু হয় স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা। 

আলোচনায় অংশ নেন- গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, ডা. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. শফিকুল হক, রাজনীতিক অ্যাড. শাহাদাত হোসেন লাকু, ইঞ্জি. মো. মতিয়ার রহমান, মো. জাহিদুল বারি, জান্নাতুল বাকি, মোকসেদরহমানসহ আরো অনেকে। একপর্যায়ে অডিও কলে ঢাকা থেকে যুক্ত হয় সহপাঠী বন্ধু প্রিন্সিপাল ডা. মো. রওশন আলী ও মেজর আজাদ । পরে নৈশভোজ শেষে রাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।