বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এখন চলছে পর্যটনের ভরা মৌসুম। বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালের আতঙ্কে কক্সবাজার ছেড়েছেন পর্যটকরা।এতে কক্সবাজার পর্যটন খাতে নৈতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এই অবস্থা বিরাজ করলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এখন চলছে পর্যটনের ভরা মৌসুম। বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালের আতঙ্কে কক্সবাজার ছেড়েছেন পর্যটকরা।এতে কক্সবাজার পর্যটন খাতে নৈতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এই অবস্থা বিরাজ করলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোন। যেখানে রয়েছে চার শতাধিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস রিসোর্ট ও কটেজ। তারমধ্যে অভিজাত হোটেল রয়েছে ৩০টির বেশি। গতকাল সকাল সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণার পর থেকে কক্সবাজার ছেড়েছেন পর্যটকরা।একই সাথে অগ্রীম বুকিংও বাতিল করা হয়েছে।

 সকাল ১০টার দিকে সুগন্ধা গিয়ে দেখা যায়,   রেস্তোরাঁও হোটেলে গুলোতে স্বল্প সংখ্যক পর্যটক দেখা গেলেও অধিকাংশ হোটেল গুলোতে পর্যটন শূন্য। শুধু হোটেল নয় সৈকতের বালিয়াড়িতে খালি পড়ে আছে কিটকটগুলো। হকার ও ফটোগ্রাফাররা বেকার সময় পার করছেন।

এদিকে সকাল থেকেই শহরে তেমন গণপরিবহন চলাচল করেনি। অনেকক্ষণ বিরতি দিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি গণপরিবহন বাস স্টেশনে থামতে দেখা যায়।তবে গণপরিবহণ না থাকলেও ছোট যানবাহন চলাচল রয়েছে রাস্তায়।

 শহরের কলাতলী,টার্মিনাল এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। টার্মিনাল এলাকায় বাস দেখা গেলেও কলাতলীসহ অন্যান্য এলাকায় তা দেখা যায়নি। তবে এ সময় সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে। তবে তা-ও অন্য দিনের তুলনায় কম।

কক্সবাজার কলাতলী ওয়ান্ড বীচ হোটেলের কর্মচারী রফিক বলেন, প্রতিদিন সকালে কলাতলী মোড়ে শত শত বাস পর্যটক নিয়ে আসতো। কিন্তু আজ একদম ব্যতিক্রম। নেই কোন পর্যটকের বাস। এতে কক্সবাজার পর্যটন খাতে নৈতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। হরতাল ঘোষণার পর থেকে তাদের হোটেলে বাতিল হতে শুরু করেছে অগ্রিম বুকিং।

শাহেদ নামক এক চাকরিজীবী বলেন, জরুরি কাজে চট্টগ্রাম যেতে হচ্ছে। কিন্তু বাস পাচ্ছি না। নেতারা শুধু তাদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে কিন্তু আমাদের আমজনতার কথা চিন্তা করে না। কক্সবাজার হোটেল সী গাজীপুর রিসোর্টের পরিচালক জাব্বার বলেন,হরতালের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অনেক পর্যটক বুকিং বাতিল করেছে। যদি হরতাল অব্যাহত থাকে তাহলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে ।

এদিকে গতকাল ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে হরতালের সমর্থনে কক্সবাজারে শহরের হলিডে মোড়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে জেলা বিএনপি।এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পুরো কক্সবাজারবাসী। হরতালকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে জেলা বিএনপির কার্যালয়সহ শহরের আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, আন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার। তবে হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে এমন কিছু বরদাস্ত করা হবে না। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে পুলিশের সবোর্চ্চ অবস্থান থাকবে।