ঢাকার বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (নবাব পারভেজ)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের ছেলে। পারভেজ প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সারোয়ার মর্নিং পোস্ট কে জানান , ‘নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। 
এ সময় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স-এর দুই ছাত্রী প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে সেখানে উপস্থিত হন। এই ছাত্রীদের নিয়ে হাসাহাসির মধ্যে থেকেই ঘটনা ঘটেছে।
ওসি আরও জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পারভেজকে প্রশ্ন করছিলেন। এক পর্যায়ে তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। 

জাহিদের বুকে 'স্টেপ' এর চিহ্ন দেখা গেছে। বর্তমানে তার লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে এবং নিহতের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের করা হয়নি।’

কুর্মিটোলা হাসপাতালে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মওদুদ মর্নিং পোস্ট কে  জানান, ‘প্রাথমিকভাবে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় (স্কলার্স এবং প্রাইমএশিয়া) শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি উঠে এসেছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি এবং অল্প সময়ের মধ্যে পুরো ঘটনাটি উদঘাটন করতে সক্ষম হব।’ তিনি আরও জানান, নিহত জাহিদুল ইসলামের বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে।

এদিকে, এই ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই দাবি করেন যে, স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাও জড়িত রয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে নিহত জাহিদুলসহ কয়েকজনের কথাকাটি হয়। 

এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে, যার ফলে জাহিদুল মারা যান। তবে এসব দাবির সত্যতা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।