বাংলাদেশের ইতহাসের সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পতনের পেছনে চারজনের একটি চক্র বা 'গ্যাং অব ফোর' দায়ী বলে দাবি করেছেন একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা।তথ্য বলছে, শেখ হাসিনার সবচেয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করা চার আওয়ামী লীগের গ্যাং অব ফোরের অন্যতম তার তিনবারের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ এবং বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। যেখানে সালমান এফ রহমান ছাড়া বাকি তিনজনই রয়েছেন পলাতক। ২১ আগস্ট দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদন জানিয়েছিল ভিন্ন কথা।যেখানে দাবি করা হয়,চার চক্রের সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নাম উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। কিন্তু দেশীয় গণমাধ্যমসহ বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রজনতা বলছেন শেখ হাসিনার পতনের জন্য শেখ হাসিনা নিজেসহ তার ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা আওয়ামী কর্তত্ববাদী ফ্যাসিস্ট সবাই দায়ী।মানুষ বলছেন,১৪,১৮ আর সর্বশেষ ৭ জানুয়ারি ২০২৪ য়ের ডামি নির্বাচন শেখ হাসিনাকে চূড়ান্তভাবে দেশের মানুষের কাছে অপ্রিয় করে তুলেছিল। যার নেপথ্যে ছিল ভোটার বিহীন তিনটি নির্বাচনসহ,মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধিরহার,বৈদেশিক রিজার্ভ তলানিতে নিয়ে আসা, বিরোধী দলগুলোকে ব্যাপক হারে দমন নীপিড়নসহ নানা কারণ জুলাই আন্দোলনকে আরো বেগবান করে তুলেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মধ্যে নানা কারণে ক্ষোভ জমছিল। সেই ক্ষোভ বেরিয়ে আসার জন্য মানুষ একটা সুযোগ খুঁজছিল। ''কোটা সংস্কার আন্দোলনটা তাদের একটা সুযোগ এনে দিয়েছিল। তারা সেই আন্দোলনকে ঘিরে নিজেদের ক্ষোভ, এতদিনের চাপা বেদনার প্রকাশ ঘটিয়েছে। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগরিটি (জিএফআই) হিসাবে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বিগত আওয়ামী শাসন আমলে। সেই হিসাবে ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকা।