বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের চারাবই গ্রামে আওয়ামী লীগের একটি দলীয় অনুষ্ঠানে গত ১৬ই ডিসেম্বর প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী মইন উদ্দিন এবং একই এলাকার আল মদিনা আইডিয়াল একাডেমির শিক্ষক আব্দুল হাকিম একই অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলীয় বক্তব্য রাখেন। গত পাঁচ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির নেতাকর্মীরা আত্নগোপনে থাকলেও প্রকাশ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার পর থেকেই এলাকা জুড়ে চলছে সমালোচনা। জানা যায়, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখা বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী মইন উদ্দিন দীর্ঘ দিন থেকে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় তার এমন কর্মকাণ্ডে প্রশ্ন রয়েছে সর্ব মহলে। এদিকে আল মদিনা একাডেমির শিক্ষক থাকার পাশাপাশি উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।এদিকে মইন উদ্দিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার একটি ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে যেখানে দেখা যায় তিনি বক্তব্য বলছেন, আওয়ামী লীগ'কে আমরা হারাতে দিতে পারিনা আওয়ামী লীগের জন্য প্রয়োজনে শেষ রক্তবিন্দু দেবো, জয় বাংলা। একই অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক আব্দুল হাকিম ৷ বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি আখতার খান জাহেদ বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে দলীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়া এবং কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা এটি নিজের কর্তব্য পালনের সাথে সাংঘর্ষিক আশা করি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। উল্লেখ্য যে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পলাতক হওয়ার পর বাংলাদেশের কোথাও আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ কোন অনুষ্ঠান করতে দেখেনি কিন্তু দুঃখের বিষয় হলে ও সত্য যে বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাতিনেতা গুলি যেভাবে ১৬ই ডিসেম্বর উদযাপন করলো তাদের কাছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্ঠা মন্ডলী,জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও জামাতে ইসলামি বাংলাদেশ এরা কি এসব পাতি নেতাদের কাছে জিম্মি ? এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলদূর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যেহেতু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব আছেন সুতরাং তিনি বিষয়টি দেখবেন।