বিদ্যালয়ের চারপাশে কোন প্রকার সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। সেইসাথে প্রতিনিয়ত ঘটছে জানালা-দরজা ভাঙচুর, বাগান নষ্ট ও মালামাল চুরির ঘটনা। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সরে জমিনে গিয়ে জানা গেছে, স্কুল ছুটির পর এলাকার কিছু উৎশৃঙ্খল কিশোরগ্যাং সদস্যরা মাঠে ঢুকে ফুটবল খেলে। এতে বিদ্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে যায়, দরজার ক্ষতি হয় এবং বাগানের ফুলগাছ ও শোভাময় উদ্যানের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। রাতের বেলায় স্থানীয় ও বহিরাগত বখাটে যুবকরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আড্ডা দেয় মোবাইল ফোনে গেম খেলে, মাদক গ্রহণ করে। যা বিদ্যালয়ের পরিবেশকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিছুদিন আগে টিনসেটের বাউন্ডারির টিন ও পিলার খুলে রাতে আধারে নিয়ে যায়। সম্প্রতি একমাত্র টিউবওয়েলটি চুরি হয়ে গেছে। এমনকি ১২ জুলাই রাতে চুরি করার উদ্দেশ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্ট্যান্ড ভেঙে ফেলার শব্দ শুনে খোল পার্শ্ববর্তী একজন এগিয়ে এলে দৌড়ে পালিয়ে যায় চক্রের সদস্যরা। এসব ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানায়,আমরা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারি না। জানালার কাচ ভাঙা, দরজা ঠিকমতো বন্ধ হয় না। ভয় লাগে। কখন যে আবার কিছু চুরি হয়ে যায় বুঝি না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুকুন উদ্দিন জানান, একাধিকবার মৌখিক ভাবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিদ্যালয়ে একটি বাউন্ডারি ওয়াল খুবই প্রয়োজন। নিরাপত্তার অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ইউএনও স্যার বরাবরে ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।