ডেঙ্গুতে মৃত্যু আগের সব রেকর্ড ছাড়াল। চলতি বছরের নয় মাসেই মৃতের সংখ্যা ২২ বছরের মৃত্যুর সমান। এ বছর ঢাকার বাইরে শনাক্ত বেশি হলেও মৃত্যুর ৬৮ ভাগই রাজধানীতে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, হাসপাতালে নেওয়ার প্রথম দিনেই মারা গেছে ৫৭ ভাগ রোগী। দেশে প্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ২০০০ সালে। সে বছর থেকেই হিসেব রাখছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রথম বছরে রোগ শনাক্ত হয় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের। মারা যায় ৯৩ জন। এরই মধ্যে পেরিয়েছে ২২ বছর। তাতে ভাইরাসের শক্তি কমেনি, বরং বেড়েছে। ২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গুর মারাত্মক প্রকোপ দেখা দিলেও ২০২২ সালে মৃত্যু ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে এ বছর তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা যায় ৮৫৩ জন। কিন্তু চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই মৃতের সংখ্যা ৮৬৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, এ বছর শক সিনড্রোমে মৃত্যু হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া এ বছর ডেঙ্গুর সেরোটাইপ ডেন-টু ও থ্রি বেশি। ডেন টু-তে আক্রান্ত হলে জটিলতা বেশি। এবার ঢাকার বাইরে শনাক্ত বেশি হলেও মৃত্যু বেশি ঢাকায়। ৪১ ভাগ মৃত্যুই ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী। আর ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারীর মধ্যে মৃত্যুহার বেশি। ডেঙ্গু মৃত্যু পর্যালোচনা কমিটির প্রধান অধ্যাপক আহমেদুল কবির জানান, ডেঙ্গু হলে মস্তিষ্ক আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া হার্ট লিভার ও কিডনিকেও আক্রান্ত করছে।
এতে জটিলতা বাড়ছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা গেছে, জুলাই-আগস্টের তুলনায় চলতি মাসে মৃত্যুহার বেড়েছে। ঢাকার পর মৃত্যু বেশি বরিশালে। যা অন্য বিভাগের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি। ২০০০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৬৮ জনের। আর ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৫৩ জনের।