ঈদের দিন সারাদেশে ১২০ সিনেমা হলে মুক্তি পায় ‘বরবাদ’। পরে আরও ২ সিনেমা হল যুক্ত হয়ে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ১২২ এ। ঈদের দিন থেকেই দেদারসে চলছে মেগাস্টার শাকিব খান অভিনীত ছবি ‘বরবাদ’। সিনেপ্লেক্স, মাল্টিপ্লেক্স থেকে মফস্বলের সিঙ্গেল স্ক্রিনেও রমরমা ব্যবসা করছে ছবিটি। অনেকেই বলছে ‘বরবাদ’ মুভি তামিল, কেজিএফ, অ্যানিমেলের বাপ! মুক্তির ৮ম দিনেও দেখা যাচ্ছে দেশের সব সিনেমা হলে বরবাদ এর টিকেট সংকট!
ঢাকার অধিকাংশ সিনেপ্লেক্স ও মাল্টিপ্লেক্সে ‘বরবাদ’ এর টিকেট না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন দর্শক। এই সিনেমার টিকেট না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে অন্য সিনেমা দেখছেন! একাধিক সিঙ্গেল স্ক্রিনে ব্ল্যাকে টিকেট বিক্রিও খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি ‘বরবাদ’-এর ‘মিড নাইট’ ও লেট নাইট শো-ও চলছে; যা রীতিমত বিস্ময়কর!
এত রমরমা ব্যবসার খবরে এই মুভি কত আয় করল তা জানার জন্য উগ্রিব ছিলেন সিনেমাপ্রেমীরা । অবশেষে জানা গেল বরবাদের আয় । বরবাদের পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় ও প্রযোজনা সংস্থা ৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) তাদের ফেসবুক পেজে জানায় মুক্তির ৭ দিনে বরবাদ মুভির গ্রোস কালেকশন ২৭.৪৩ কোটি টাকা! এরকম আয় শুনে নেটিজেনরা তো পুরোপুরি অবাক। কেউ কেউ আবার বলছে ‘বরবাদ’ এর চেয়ে বেশি আয় করেছে।
হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান নামের এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “১১১ সিঙ্গেল স্ক্রিনে একেকটাতে ৪/৫/৬ টা করে শো চলেছে। কয়েকটাতে ৩ টা শো। ৭ দিনে টোটাল ৩২০০ এর ওপর শো গেছে। ৭ম দিনেও ৫৩০ টা মত শো ছিল। মোট শো সংখ্যা ৩৫০০ এর কম হবার কথা না। বেশিরভাগই হাউজফুল। কমবেশি ৭০০-৮০০ সিট (মণিহারে ১৫০০, মধুবন, মধমিতায় ১২০০+, ইত্যাদি), এমনকি টিকিটের দামও বেশি। কমবেশি সব সিট মিলিয়ে ১২০-১৫০ গড় টিকিটের দাম পড়েছে।
সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকে কম করে হলেও ৩০ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হবার কথা। সেখানে হল মালিকেরা ইচ্ছাকৃতভাবে কম টাকার রিপোর্ট দেয়, ট্যাক্স ও পার্সেন্টেজ ফাকি দেয়ার জন্য। সেখানে সিঙ্গেল + মাল্টিপ্লেক্স নিলে ২৭ কোটি মানে তো অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য! বরঞ্চ অঙ্কটা আরও বেশি হবার কথা ছিল! সিটের তুলনায় টিকিট বিক্রি হয়েছে আরও বেশি!”
তবে সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা রিয়াল এনার্জি প্রডাকশন বরবাদের আয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, ‘বরবাদ’ মুক্তির পর থেকে সারাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আপনাদের সবার এই ভালোবাসা অব্যাহত থাকুক। বাংলা সিনেমার স্বার্থে সবসময় বাংলা সিনেমার পাশে থাকুন।