‎চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এক নারী একা পেয়ে মারধর করে তার দেবর, স্বামী ও ভাসুর। এই সময় ঘরের সামনে আহত অবস্থায় পড়ে থাকেন সেই মহিলা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে।

 পুলিশ সামনেই মহিলার ভাসুর জাকির হোসেন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশকে তেড়ে আসেন। এই সময়  মহিলার ভাই মিলন আসলে পুলিশের সামনে তাকে বেদম মারধর করেন। নিরুপা হয় মিলন আহত অবস্থায়  অন্য একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। পুলিশ নিরবে চেয়ে চেয়ে দেখে রয়েছে। পরে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশের আরও একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অতিতের মারামারি ঘটনা নিয়ে সালিশের বৈঠকের ডেট দিয়ে চলে আসে। এদিকে অস্ত্র উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের এমন ঘটনা প্রশ্ন সচেতন মহলের।  এ নিয়ে স্থানীয় মাঝে মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে । ঘটনাটি উপজেলার ৪ নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ভোলারচর গ্রামের হাওলাদের বাড়িতে।
‎ঘটনা সূত্রে জানা যায় , গত ২৪শে আগস্ট রবিবার বিকালে উপজেলার ৪ নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ভোলাচর গ্রামের বিয়ে হয় ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মেয়ে তাহমিনা।  বিয়ের কয়েক বছর পরেই আকলিমা ও তার স্বামী মানিকের সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে গত ৪ বছর তাহমিনাকে কোন খরচ বহন করেনা তার স্বামী মানিক। উল্টো এপ্রিল ২০২৫ সালে বিদেশ থেকে এসে আকলিমাকে তালাক দেন তার স্বামী মানিক। এদিকে জানাজায় মানিক খালাতো বোনকে বিয়ে করেন। তাহমিনা তার তার পাওনা টাকা পাওয়ার জন্য পারিবারিক আদালত একটি মামলা দায়ের করেন। তালাক দিয়েছেন কিন্তু তার পাওনা টাকা না দেওয়া স্বামীর বাড়ি থেকে বের হননি তাহামিনা। তার এক মেয়ে সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন ওই ঘরে। গত ২৪ আগস্ট রবিবার বিকালে বেদর মারধর করে  তাহমিনা ও তার মেয়েকে ঘর থেকে বের করে দেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসেন তাহমিনার ভাসুর জাকির। এই সময় তাহমিনার ভাই মিলনকে পুলিশের সামনে বেদর মারধর করে।  সংঘর্ষের সংবাদ শুনে পুলিশের আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত দিয়ে আসেন। পুলিশের এমন কর্মকান্ডের ঘটনায় হতাশ স্থানীয় মানুষ। অস্ত্র উদ্যান না করে পুলিশ কিভাবে পারলো বিষয়টা বৈঠকে ডেট করতে এমন প্রশ্ন অনেকে।
‎স্থানীয় লোকজন বলেন, জাকির অনেক খারাপ লোক। সে তার ভাইয়েরা মিলে মহিলাটাকে কুকুরের মতো আছাড় দিয়ে মেরেছে। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলে না । পুলিশের সামনে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয় নাই। বিষয়টি হতাশা জনক। আমরা এর বিচার চাই।
‎তাহমিনার স্বামী মানিক বলেন, আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি আরো ৩ মাস আগে সে কেন আমার ঘরে থাকবে তাই আমি তাকে বের করে দিয়েছি।
‎তাহমিনা বলেন,  আমার ১০ বছরের সংসার। সে পরকীয়া করে আমি তাকে বাঁধা দেওয়ায় সে আমাকে গত ৪ মাস কোন খরচ দেয়নাই। আমি মানুষের কাজ করে সংসার চালাই। সে আমাকে গত কয়েক মাস আগে তালাক দিয়েছে।  কিন্তু আমার পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেয় নাই। তাই আমি পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেছি। সে আমাকে ও আমার মেয়েকে কুকুরের মত মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই।
‎ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন,  ঐখানে যে ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ। আমরা অস্রের বিষয়ে পরে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।