পান, পানি, নারী তিন জিনিসে জৈন্তাপুর। খনিজ সম্পদের সাম্রাজ্য সিলেট ৪। এটি জাতীয় নির্বাচনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, জৈন্তা কোম্পানীগঞ্জ এই ৩ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট ৪ আসন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন। জেলা থেকে কেন্দ্র এবং কেন্দ্র থেকে বিদেশ। এই আসনে ২জনের নাম খুবই জোরে সুরে সামনে আসতেছে। তারা হলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। অপর দিকে স্থানীয়দের মধ্যে জনগনের আস্থার প্রতিক হিসেবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হতে শুরু করে ২ বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব, আব্দুল হাকীম চৌধুরী। থাকে মানুষ বলে গরীবের বন্ধু, জনগনের কাতারের মানুষ। যেকিনা সৈরাচারের আমলে দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েও কোন ধরনের দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। বর্তমানে তিনটি উপজেলায় জনগনের আস্থার প্রতিক হয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতিক ধানের শীষ নিয়ে জনগনের পাশে থাকতে চান। আরিফুল হক চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে ৩ উপজেলার বিএনপি ঘরানার লোক সম্মান করে ঠিকই। কিন্তু নির্বাচনী মাঠে আব্দুল হাকিম চৌধুরীর জনপ্রিয়তা আকাশ চুম্বি। আব্দুল হাকিম চৌধুরী দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে ও বিগত উপজেলা নিবার্চনে অংশ গ্রহন করেন নি। কিন্তু প্রথম ২ বার আওয়ামী শাসন আমলে ও বিপুল ভোটে জনগণ হাকিম চৌধুরীকে নির্বাচিত করেছিলো। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলাম তাদের প্রার্থী ঘোষনা করেছে। কিন্তু বিএনপির মধ্যে চলছে নানা ধরনের জল্পনা কল্পনা। একদিকে আব্দুল হাকিম অন্য দিকে আরিফুল হক। স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের মুখে বলতে শুনা যায় আব্দুল হাকিম এই আসনের সন্তান। তাই অতীতের মত আবারো ও আমরা থাকে আসাদের পাশে দেখতে চাই। সিলেট ৪ আসনে সংসদ নিবার্চন করার জন্য দলের নির্দেশে এক যোগ হতে কাজে করে যাচ্ছেন। এখন দল থেকে কাজের প্রতিদান হিসাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব,তারেক রহমানকে সিলেট ৪ আসন উপহার হিসেবে দিতে চান আব্দুল হাকিম চৌধুরী।