সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন কবিরপুর এলাকায় মাদ্রাসার ছাত্রী ৮ বছরের এক শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মুদি দোকানি হাবিবুর রহমানকে (৪৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এর আগে শিশুটির পরিবারকে হুমকি দিয়ে মিমাংসার নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে আসামিকে আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন।
আসামি হাবিব আশুলিয়ার কবিরপুর তেলিবাড়ী বাজার এলাকায় মুদি দোকান করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, শুক্রবার ওই শিশুকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে দোকানের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে হাবিব । এ সময় শিশুটির কান্নার আওয়াজ ও চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখলে ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। রাতে শরীরে জ্বর আসলে শিশুটির মা ভেজা কাপড় দিয়ে তার শরীর মুছতে গেলে স্পর্শকাতর স্থানে দাগ দেখলে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে শিশু মেয়েটি তার মাকে সব খুলে বলে। পরে শিশুটির বাবা-মা বাড়িওয়ালা সাইদুর রহমানকে ঘটনাটি জানালে তিনি অভিযুক্ত হাবিবকে তার বাসায় ডেকে পাঠান। সাইদুর রহমান ও কানা জাকিরসহ এলাকার কয়েকজন মিলে ধর্ষণ চেষ্টার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা শিশুটির পরিবারকে দেওয়ার কথা বলে।
রাত ৯টার দিকে এলাকাবাসী বিষয়টি অবগত হয়ে সাইদুরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বাড়িটি ঘিরে রাখে। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন ৯৯৯ নম্বরে কল করলে রাত প্রায় ৯ টার দিকে পুলিশ সাইদুরের বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ওই বাসা থেকে অভিযুক্তকে থানা হাজতে নেয়।
শিশুটির বাবা বলেন, আমি এখানে ভাড়া থাকি এবং একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। স্থানীয় বাড়িওয়ালা সাইদুর ও কানা জাকিরসহ কয়েকজন মিলে আমাকে চাপ দিয়ে বিষয়টি মিমাংসায় যেতে বলেন। এ বিষয়ে আমরা কোনো মামলা করলে ক্ষতি হবে বলে হুমকী দেয়।
স্থানীয়রা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষী ব্যক্তির দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে হাবিব কে আটক করা হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে মহামান্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।