রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৫.৩০ টায় নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত রনি ফরাজী আবাসনের দুলাল ফরাজির ছেলে। সে পেশায় একজন পিকআপ ড্রাইভার।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রনি ফরাজী দুলাল ফরাজী ও রহিমা বেগম দম্পতির একমাএ ছেলে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তিন সন্তানের জননীর সাথে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাদের মধ্যে মন দেওয়া নেওয়া চলতে থাকে। এমনকি ঐ মহিলার স্বামী ও রয়েছে বলে জানা যায়। প্রেমিকা নামক তিন সন্তানের জননী রনি ফরাজীর সাথে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে মান অভিমান চলতে থাকে। শনিবার রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমান তিব্রতর হলে রবিবার সকাল ৫.৩০টায় নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
নিহত রনি ফরাজীর মা রহিমা বেগম টের পেয়ে নিজ ঘরে তার ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তার আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে নামিয়ে দ্রুত পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। চিকিৎসারত অবস্থায় রনি ফরাজী সকালে মারা যায়। খবর পেয়ে পিরোজপুর সদর থানার এসআই হাছিব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান।
পিরোজপুর সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম জানান, পাড়েরহাট আবাসনের বাসিন্দা রনি ফরাজী নামে এক যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টায় পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।