উত্তরবঙ্গের সাড়ে তিন কোটি মানুষের আগ্রহ ও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে উদ্বোধন করা হলো দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম রেল সেতুর। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১০মিনিটে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.ফাহিমুল ইসলাম এই রেল সেতুটির উদ্বোধন করেন।উদ্বোধন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে সেতুটির পূর্ব প্রান্তে টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।সেতুর পূর্ব প্রান্ত ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন থেকে সকাল ১১টা ২০মিনিটে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা উদ্বোধনী ওই ট্রেনে সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সায়দাবাদ রেলস্টেশনে পারাপার হয় এবং পরে সেখানে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা সংবাদ সম্মেলন করেন এবং বেলা ১২টায় আবার সেতুর পূর্ব প্রান্ত ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনে ফেরত আসে ট্রেনটি।সংশ্লিষ্টরা জানান,সাড়ে তিন মিনিটের মধ্যেই সেতু অতিক্রম করতে পারবে ট্রেন।ডাবল লেনের এই রেলসেতুটি উদ্বোধনের ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিনাঞ্চলের যোগাযোগের সেতুবন্ধনে একটি নতুন মাত্রা যোগ হলো এবং এতে খুশি রেল যাত্রীরাও।তবে সেতুটি ডাবল লেনের হলেও বর্তমানে সিঙ্গেল লেন চালু হওয়ায় সেতুটির পুরোপুরি সুফল খুব শীঘ্রিই মিলবে না রেল যাত্রীদের।রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পের পিডি আবু ফাত্তাহ মো.মাসুদুর রহমান বলেন,নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ডাবল লেনের রেললাইন তৈরি করা হবে।এর ফলে দেশের বানিজ্য ও অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের দার উন্মোচিত হবে।তিনি আরো বলেন,যমুনা রেলসেতু দিয়ে রেল পারাপারে আগের তুলনায় এখন সময় অনেক কম লাগবে।তিনি বলেন,ডাবল লেনের সুবিধা পেতে হলে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে,সেতুটি ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত হয়েছে।নতুন রেলওয়ে সেতুটি যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০মিটার উজানে নির্মাণ করা হয়েছে।দেশের দীর্ঘতম এ রেলসেতুর উপর দিয়ে ৮৮টি রেল দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারবে।