একসাথে দুই কলেজে চাকরি করা শিক্ষক ছাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হযরত আলীর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি এই তদন্ত শুরু করেছেন।

একসাথে দুই কলেজে চাকরি করা শিক্ষক ছাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হযরত আলীর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি এই তদন্ত শুরু করেছেন। ছাইফুল বগুড়ার দুপচাঁচিয়া কারিগরি কলেজে অধ্যক্ষ ও কাহালু মহিলা ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক পদে একসঙ্গে চাকরি করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিন আগে কয়েকটি গণমাধ্যমে  ‘দুই কলেজে চাকরি করেন এক শিক্ষক’ শিরোনানে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা। তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হযরত আলী বলেন, ‘ছাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুই কলেজে চাকরিসহ নানা ধরনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন- জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও তিনি। অভিযোগকারি পক্ষকে আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাদের কাছে কিছু কাগজপত্র জামা দিতে বলা হয়েছে। আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।জানতে চাইলে অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম দুই কলেজে চাকরির অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি দুপচাঁচিয়া কারিগরি কলেজ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান নয়। চাকরিটি এমপিও হলে আমি রিজাইন দিয়ে যেকোনো একটি কলেজে থাকার সীদ্ধান্ত নেবো।