ফ্রিল্যান্সিং এ প্রশিক্ষণ দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে জনশক্তিতে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় মাদারীপুরের মেহেদী হাসান শুভ পেয়েছেন গ্লোবাল চেঞ্জমেকার্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহীনবাগে ইমপরিয়াল হোটেলে কসোভো দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এইচ ই. গুনার উরেয়ার হাত থেকে তিনি এ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি কাজি আসমা আজমেরি, নানজিবা ফাতেমা, বিনয় কুমার চক্রবর্তী, সাদরুল আহম্মদ খানসহ আরও ৬ বিদেশী তরুণকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। গত তিন বছর ধরে ভারতভিত্তিক সংগঠন ‘ গ্লোবাল  চেঞ্জমেকার্স’ তরুণদের ভাল কাজে উৎসাহ দিতে সম্মানজনক এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এই প্রথম বারের মত সংগঠনটি এই অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এর আগে নেপাল ও ভারতে এই ধরণের অনুষ্ঠান হয়েছে। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ব্রুনাই এর রাষ্ট্রদূত এইচ ই. হারিস বিন অথমা, নেপালের রাষ্ট্রদূত এইচ ই. ললিতা সিলিওল, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শওকত হোসেন প্রমুখ। মেহেদী হাসান শুভ মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি এলাকার আব্দুল কাদের সরদারের ছেলে। তিনি ২০১৮ সাথে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে টপরেটেট ফ্রিল্যান্সারের ব্যাচ অর্জন করেন। এখন টপরেটেট প্লাস ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের লার্নিং অ্যান্ড অর্নিং প্রোজেক্টের প্রশিক্ষক হিসেবে ইতোমধ্যে প্রায় চার হাজার ব্যক্তিকে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন মেহেদী হাসান শুভ।

বর্তমানে তিনি ‘ফিউচার আইটি ইনস্টিউট’ একটি কোম্পানিতে প্রতিদিন ৪টি ব্যাচে ২৪০ শিক্ষার্থীকে অনলাইনে ক্লাস করান। নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন নামে আরও একটি ফেসবুক গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত থেকে সেখানেও মেহেদী হাসান বিনামূল্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এ প্রশিক্ষণ দিয়ে বহু তরুণকে ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। এর আগেও মেহেদী হাসান ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ‘রাইজিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি প্রসঙ্গে মেহেদী হাসান বলেন, ‘এই সম্মান আমার জন্য অনেক গর্বের। দেশের জন্য আগামীতে আরও অনেক স্বীকৃতি আনতে চাই। সেই লক্ষ্য মাথায় রেখে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরও বেশি মনোযোগী হবো। তরুণ সমাজে বেকারত্ব দূর করে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে তাদের এগিয়ে নিতে আমাদের আরও অনেক কিছু করার রয়েছে।