আবেদনপত্রে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রাণ-প্রকৃতির জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে পৌঁছেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজের তুলনায় ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় যথাযথ পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। এছাড়াও উন্নয়ন কাজের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের বিষয়টি ও তিনি আবেদনপত্রে তুলে ধরেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য 'আর্থিক সংবিধি এবং ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় 'জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষনে সংবিধি' প্রণয়নের দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন।

বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে আবেদনপত্রের মাধ্যমে এ দাবি জানান তিনি।

আবেদনপত্রে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রাণ-প্রকৃতির জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে পৌঁছেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ কাজের তুলনায় ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় যথাযথ পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। এছাড়াও উন্নয়ন কাজের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের বিষয়টি ও তিনি আবেদনপত্রে তুলে ধরেন।

'আর্থিক সংবিধির' বিষয়ে আবেদন পত্রে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা নিশ্চিত করা সহ সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনা পরিচালনার লক্ষ্যে একটি আর্থিক সংবিধি থাকা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। এইরূপ আর্থিক সংবিধি প্রণয়নের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতের আর্থিক মানদণ্ড নিশ্চিত করা সহজ হবে এবং সম্ভাব্য যে কোন আর্থিক অনিয়ম, অপচয় ও তসরুফ রোধ করা যাবে। 

জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ- প্রকৃতি সংরক্ষনে সংবিধি' বিষয়ে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে পরিকল্পনাবিদ মাজহারুল ইসলাম যে মাস্টারপ্ল্যান দিয়েছিলেন তাতে লেক, গাছ-পালা ও জীববৈচিত্র্য সম্বলিত সুন্দর ইকোসিস্টেমভিত্তিক ক্যাম্পাস গড়ার কথা ছিল। সময়ের পরিক্রমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য আজ হুমকির মুখে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ব্যতিরেকে বিপুল পরিমান ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, যত্রতত্র দোকানপাট ও স্থাপনা তৈরি ও জনসাধারণের অবাধ যাতায়াতের ফলে সৃষ্ট শব্দ দূষণ, কোলাহল ও সংরক্ষিত প্রাকৃতিক অঞ্চল/জলাশয় সংকোচনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। যে কারনে ক্যাম্পাসে পরিযায়ী পাখিসহ বিপন্ন প্রজাতীর প্রাণি ও পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে কমেছে। এই অবস্থায় ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও ব্যবস্থাপনায় এই সংবিধি প্রণয়ণ করা জরুরি।

আবেদন পত্রে ২০২৪ সালের বার্ষিক অধিবেশনের সংবিধি দুইটি সিনেটে অনুমোদনের জন্য দাবি জানান।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন' ১৯৭৩ এর ধারা ২৩ (২) (জি) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সিন্ডিকেটের যে কেনো সিনেট সদস্য কর্তৃক এইরূপ সংবিধি প্রস্তুত করে সিনেটে তা অনুমোদনের জন্য প্রেরণের এখতিয়ার রয়েছে।