জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কুরআন পাঠ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।২০ মে (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে ‘আলোকিত জ্ঞানী’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হাফেজ মুফতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ’আমাদের জীবনে কুরআন দরকার। কারণ আমাদের জ্ঞানকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে। আমাদের এই কুরআনের জ্ঞান সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য কাজে লাগাতে হবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বায়তুল মোকাররমের বিকল্প খতিব এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ম্যহাদ্দিস ড ওয়ালীউর রহমান আল আযহারী বলেন, প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদের বিকল্প খতিব ড. ওয়ালীউর রহমান বলেন, আল্লাহ কুরআনকে সহজ করে নাজিল করেছেন। মুসলমান হিসেবে, আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়তে গেলে কুরআন অধ্যয়নের বিকল্প নেই৷ তবে কুরআনের সকল কথাই যে আমরা বুঝবো তা নয়। কিছু জটিল বিষয় থাকবে যা বুঝার জন্য অনুবাদ ও হাদিস পড়তে হবে৷ আর পুরোপুরিভাবে কুরআানকে বুঝতে হলে রাসূল (সাঃ) কে বুঝতে হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড আলমগীর কবির বলেন, প্রোগ্রাম বিষয়ে সব সময় আমার শুভকামনা ছিল এবং আমি বলেছিলাম সার্বিক বিষয়ে আমার সহযোগিতা থাকবে । আমরা এখানে সবাই শিক্ষিত মানুষ, আমাদের মনে রাখতে হবে কুরআন হাদীসের অপবাদ যাতে কেউ না করে। কুরআনের সঠিক ব্যাখ্যা বুঝে আমাদের জীবন কে রঙ্গিন করতে হবে। এই আয়োজন অব্যাহত থাকুক।
৪র্থ পবিত্র কুরআন অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আদনান খান এবং ফার্মেসি বিভাগের ৪৭আবু উবায়দা উসামা। ২য় স্থান অধিকার করেছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুন্নী আক্তার এবং ৩য় স্থান অধিকার ফার্মেসি বিভাগের ৪৮ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন সুমনা।
অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৩০ জনকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাফেজদের ‘হাফেজ সংবর্ধনা’ প্রধান করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে গিফট কার্ড, বুক মার্ক এবং অনুবাদসহ কুরআন উপহার দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বিগত তিন বছর ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরআনের অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর রমজান মাসে ৪র্থ বারের মতো কুরআনের অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। দুই ধাপে মূল্যায়নের মাধ্যমে ৩০ জন প্রতিযোগীকে বাছাই করে পুরস্কৃত করা হয়।