এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও তার বন্ধু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনপুরা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৩ ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। তারা ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা আটকে রাখার পর রুহুল আমিন টাকা আনার কথা বলে সুকৌশলে বন্ধুদের ফোন করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দুই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও ছিনতাই চেষ্টাকালে দুই বহিরাগতকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশের রাস্তা দিয়ে মনপুরা এলাকার প্রবেশপথে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আটক নাজমুল হাসান (৩২) সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, তার স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার খলিলপুর গ্রাম। আরেক অভিযুক্ত আলামিন (২৮) একই প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন প্রকল্পে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানায়। অভিযুক্তদের আরেকজন পালিয়ে যায়। তার নাম আলামিন বলে দুই অভিযুক্ত নিশ্চিত করেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও তার বন্ধু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনপুরা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৩ ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। তারা ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা আটকে রাখার পর রুহুল আমিন টাকা আনার কথা বলে সুকৌশলে বন্ধুদের ফোন করেন।

এ সময় সালাম বরকত হল থেকে শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এ সময় ছিনতাইকারীদের বেধড়ক মারধর করেন। অভিযুক্তদের একজন পালিয়ে গেলেও দুজনকে হাতেনাতে ধরে নিরাপত্তা শাখায় হাজির করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী।

এ ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাত দশটায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে অভিযুক্তদের নিয়ে আসেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

পরে রাত পৌনে একটায় আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলম মিয়া অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়া থানায় যান। এ ঘটনায় একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল জানান, “আমি এ ঘটনা জানার পরপরই প্রক্টর মহোদয়কে অবহিত করেছি। রেজিস্ট্রার মহোদয়ের অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশের সোপর্দ করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মামলা দেয়ার জন্য। কিন্তু ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগের মামলা ভিকটিমকেই দিতে হয় বিধায় আমরা এখন ভিকটিমকে নিয়ে থানায় যাচ্ছি।”