তদন্তের অগ্রগতির ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. বশিরুজ্জামান খোকন বলেন, ‘তদন্তের কাজ একদম শেষ করেছি প্রায়। কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা, ক্যাম্পাস বন্ধ ও হলের ফিস্টসহ নানাবিধ ব্যস্ততার কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। তবে আগামী ২-৪ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে পারবো বলে আশা করছি।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করে বের করে দেওয়ার ঘটনায় হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে ২ মে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২ তম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবিদুল ইসলাম। 

অভিযোগ দায়ের করার পর হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক মো. বশিরুজ্জামান খোকন কে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের একমাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্ত কমিটি। 

হতাশা প্রকাশ করে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আবিদুল ইসলাম বলেন, “একেবারে প্রথম থেকেই তদন্তের ব্যাপারে সেরকম আস্থা পাচ্ছিলাম না। মনে হচ্ছিল না কিছু হবে। সময় না বেঁধে দেওয়ায় তদন্তের বিষয়টি দীর্ঘসূত্রিতায় পর্যবসিত হয়েছে। এখন দেখা যাক কতদূর কি হয়!”

তদন্তের অগ্রগতির ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. বশিরুজ্জামান খোকন বলেন, ‘তদন্তের কাজ একদম শেষ করেছি প্রায়। কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা, ক্যাম্পাস বন্ধ ও হলের ফিস্টসহ নানাবিধ ব্যস্ততার কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। তবে আগামী ২-৪ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে পারবো বলে আশা করছি।’

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম বলেন, ‘আমি জেনেছি এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির কাজ শেষ হয়েছে। তবে তদন্ত রিপোর্ট এখনো আমি হাতে পায়নি। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।’

এদিকে অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে আবিদুল হলে আসলে ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাকে নানাভাবে হেনস্থা করে তার সাথে জোরপূর্বক পরিচিত হবার চেষ্টা করে। তাদের আচরণে সাড়া না দিলে একপর্যায়ে তাকে রুমে যেতে বলা হয়। সে পরবর্তীতে ওয়াসরুম থেকে ফিরে আসার কিছুক্ষণ পর ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ফোনে ভিডিও ক্যামেরা চালু করে কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় তারা জিনিসপত্র তল্লাশি করতে শুরু করে। এভাবে তারা কিছু ট্যাবলেট আর একটি প্লাস্টিকের বোতল পায়, এরপর তারা ভিডিও দেখিয়ে বলে আমি নাকি মাদকসেবন করি। অত:পর তারা উক্ত শিক্ষার্থীকে বলতে থাকে সে মাদক সেবন করে না কিন্তু তারা কোন কথা না শুনেই তার জিনিসপত্র হল গেইটে রেখে আসে এবং তাকে হল থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। এরপর আবিদুল আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং উপায় না পেয়ে হল ত্যাগ করে।