তিন মেয়াদে টানা দেড় দশক বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস)। তবে টিকিট বিক্রিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ছিল এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

প্রায় দুই বছর আগে রেলের আহ্বান করা দরপত্রে সিএনএসের পরিবর্তে টিকিট ব্যবস্থাপনার জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয় সহজ লিমিটেড জেভি। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রেলভবনে আনুষ্ঠানিক সহজ ও রেলের চুক্তি হয়। আগামী পাঁচ বছরের জন্য ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে সহজ।

তবে দরপত্রের মাধ্যমে সহজকে বেছে নেয়ার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দরপত্রে বড় ধরনের কারসাজি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। টিকিট ব্যবস্থাপনা খরচ কম দেখাতে তারা রেলের নিজস্ব আয়কে নিজেদের দরপ্রস্তাবে যুক্ত করেছে। এরপর সেই আয় সহজের মোট ব্যয় প্রস্তাবের সঙ্গে বিয়োগ করে টিকিটপ্রতি রেলের কাছ থেকে তাদের পাওনা মূল্য বা সার্ভিস চার্জ কম দেখানো হয়েছে।

সহজের কারসাজির বিষয়টি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষায় ধরা পড়লেও বিষয়টি অজ্ঞাত কারণে ধামাচাপা পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে রেলের ঊর্ধ্বতন কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনও নিউজবাংলার জিজ্ঞাসায় সাড়া দেননি।

সহজের আগের প্রতিষ্ঠান সিএনএস প্রতিটি টিকিট ইস্যু বাবদ রেলের কাছ থেকে ২ টাকা ৯৯ পয়সা সার্ভিস চার্জ নিত। চলতি বছরের চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি টিকিট ইস্যুর জন্য মাত্র ২৫ পয়সা চার্জ নেয়ার প্রস্তাব দিয়ে কাজটি পায় সহজ।


তবে নিউজবাংলার হাতে আসা সহজ লিমিটেড জেভির আর্থিক দরপ্রস্তাবে ব্যাপক কারসাজির প্রমাণ মিলেছে।

রেলওয়েতে আর্থিক দরপত্র প্রস্তাব ফরম পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ফরমটিতে ৮.০১ পর্যন্ত সারি রয়েছে। তবে সহজের জমা দেয়া আর্থিক প্রস্তাবে একটি সারি বাড়িয়ে ৮.০২ পর্যন্ত করা হয়। রেলওয়ের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির একাধিক কর্মকর্তার সইসহ সহজের আর্থিক প্রস্তাবের একটি অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা।

রেলওয়েতে জমা দেয়া আর্থিক দরপ্রস্তাবে সহজ লিমিটেড জেভি তাদের মোট ব্যয় দেখিয়েছে ৩০ কোটি ২৫ লাখ ১৫ হাজার ১২৯ টাকা। যার সঙ্গে ২০ কোটি টিকিট ভাগ করলে প্রতিটি টিকিটের সার্ভিস চার্জ দাঁড়ায় ১ টাকা ৫১ পয়সা।

ওই দরপত্রে সহজসহ মোট ১৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। অতীতে টিকিট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সিএনএসও অংশ নিয়েছিল সেখানে। সিএনএস যে ব্যয় প্রস্তাব দেয় তাতে টিকিটের সার্ভিস চার্জ ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা।

তবে সহজ রেলওয়ের দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাবে অতিরিক্ত একটি সারি তৈরি করে কারসাজির মাধ্যমে টিকিট প্রতি সার্ভিস চার্জ ১ টাকা ৫১ পয়সার পরিবর্তে মাত্র ২৫ পয়সা দেখিয়েছে।

ফরমের অতিরিক্ত ওই সারিতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন থেকে রেল কর্তৃপক্ষের সম্ভাব্য আয় ২৫ কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার টাকাকে নিজেদের আয় হিসেবে দেখায় সহজ। এরপর তা দরপ্রস্তাবের মোট দর থেকে বাদ দেয়া হয়।

এর ফলে মোট ব্যয় প্রস্তাব ৩০ কোটি ২৫ লাখ ১৫ হাজার ১২৯ টাকার পরিবর্তে নেমে আসে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১২৯ টাকায়। আর এর সঙ্গে ২০ কোটি টিকিট ভাগ করে প্রতিটি টিকিটের সার্ভিস চার্জ দেখানো হয় মাত্র ২৫ পয়সা।

টিকিটসহ বিভিন্ন স্টেশনে নানান প্রতিষ্ঠানের দেয়া বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া অর্থ রেলের নিজস্ব আয় হিসেবে বিবেচিত। তবে দরপ্রস্তাবে এই আয় নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজেদের হিসেবে দেখিয়েছে সহজ।

দরপ্রস্তাবে অনিয়মের বিষয়টি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিরীক্ষায় ধরা পড়লেও সহজের কাজ পাওয়ায় তা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।


এ ব্যাপারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) তৈরি করা একটি প্রতিবেদনের অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সহজ লিমিটেড জিভি পারস্পরিক যোগসাজশের মাধ্যমে আর্থিক প্রস্তাবের ৮ নং মেইন হেডে একটি অতিরিক্ত লাইন সংযোজন করে বিজ্ঞাপন থেকে ২৫ কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার টাকা আয় দেখিয়ে তা নিয়মবহির্ভূতভাবে তাদের মূল উদ্ধৃত দর থেকে বিয়োগ করেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সহজ লিমিটেড জেভি ছাড়া অন্য কোনো দরদাতাই তাদের আর্থিক প্রস্তাবে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দাখিল করেনি। যা থেকে প্রতীয়মান হয় রেলওয়ের মূল্যায়ন কমিটি ও সহজ লিমিটেড জেভি নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পারস্পরিক যোগসাজশে এ ধরনের শর্তযুক্ত প্রস্তাব পেশ করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এ ধরনের বিজ্ঞাপন খাতে ৫ বছরে ২৫ কোটি ৩১ লাখ ৮২ হাজার টাকার চেয়ে আরও বহুগুণ (বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী প্রায় ৫০০ কোটি টাকা) বেশি আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা একান্তভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের তথা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব আয়। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার জন্যই পারস্পরিক যোগসাজশে সহজ লিমিটেড জেভি এ ধরনের প্রস্তাব দাখিল করেছে এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বেআইনিভাবে তা অনুমোদন করেছে।’

সহজের দরপত্রে অনিয়মের বিষয়টি রেলের তখনকার অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিয়াজাহানও চিহ্নিত করেছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি ২০২০ সালে একটি প্রতিবেদনও দেন। তবে সেটি আমলে নেয়া হয়নি। সহজের দরপ্রস্তাব অনুমোদনের নথিতে পরে অবশ্য মিয়াজাহানও সই করেন।


এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মিয়াজাহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টেন্ডার ডকুমেন্ট ওখানে যেভাবে আছে সেভাবেই আছে। তারপর আমরা চলে আসছি আড়াই বছর হলো। এখন আড়াই বছর আগের ঘটনা আপনি নিয়ে আইসা প্রশ্ন করলে আমি কি সেগুলো বলতে পারব? এ বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না।’

দরপত্র দাখিলের যোগ্যতাই ছিল না সহজের

বাংলাদেশ রেলওয়ে ইন্টিগ্রেটেড টিকিটিং সিস্টেম (বিআরআইটিএস) দরপত্রের ৭.১(এ). (১).(৩) এর শর্ত অনুযায়ী, দরদাতা প্রতিষ্ঠানের বছরে ৫০ লাখ টিকিট ইস্যু করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এ ছাড়া দরপত্র দলিলের আইটিটি ৭.১(এ) এর টেন্ডার এলিজিবিলিটির শর্ত সমূহের ১(৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো একটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে একটি সিস্টেমের মাধ্যমে কমপক্ষে ৫০ লাখ টিকিট ইস্যুর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কোনোভাবেই একাধিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের খণ্ডিত অভিজ্ঞতাকে একত্রিত করে অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।

তবে এই শর্ত পূরণ করেনি সহজ। ট্রেনের টিকিট ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পাওয়ার আগে বিভিন্ন বাস কোম্পানির টিকিট বিপণনে যুক্ত ছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে তাদের বিক্রি করা বাসের টিকিটের সংখ্যা ৫০ লাখ অতিক্রম করেনি।

রেলের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিয়াজাহানের প্রতিবেদনেও বিষয়টির উল্লেখ আছে। এতে বলা হয়, সহজ লিমিটেড বাসের প্রতি টিকিট বাবদ গড়ে ৩০ টাকা করে কমিশন নিয়ে থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম থেকে ২০১৯ সালে ৯ লাখ ৭০ হাজার, ২০১৮ সালে ৭ লাখ ৬১ হাজার, ২০১৭ সালে ৭ লাখ ১০ হাজার, ২০১৬ সালে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ও ২০১৫ সালে ১ লাখ ২০ হাজার টিকিট ছাড় হয়েছে। অর্থাৎ কোনো একক বছরে ৫০ লাখ তো নয়ই, পাঁচ বছরে সহজ সব মিলিয়ে মোট ৩০ লাখ বাসের টিকিট বিক্রি করেছে ।


মিয়াজাহান প্রতিবেদনে বলেন, ‘সহজ বাংলাদেশ রেলওয়ের চাহিত বিগত পাঁচ বছরের কোনো বছরেই সিস্টেম হতে ইস্যুকৃত টিকিটের সংখ্যা ৫০ লাখ অতিক্রম করতে পারে নাই, এমনকি সংখ্যাটি ৫০ লাখের কাছাকাছিও না। সহজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আগের অভিজ্ঞতার টিকিটপ্রতি কমিশনের সঠিক হিসাব করলে সিস্টেম হতে ইস্যুকৃত টিকিটের সংখ্যা আরও কম হবে। এ ক্ষেত্রে সহজের দাখিলকৃত দরপত্র প্রস্তাবে প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন না করে ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়া হয়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

মিয়াজাহানের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে নিউজবাংলার প্রশ্ন ছিল, এই প্রতিবেদন দেয়ার পরও আপনি কেন সহজের দরপ্রস্তাব অনুমোদনের নথিতে সই করেছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমি দেই নাই, আরও অনেকের সই আছে।’

বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তার সাড়া পায়নি নিউজবাংলা। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু হোয়াটসঅ্যাপে লিখে পাঠানোর পর তিনি ‘সিন করলেও’ কোনো জবাব দেননি।

বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘কথা বলার সময় নেই’ জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর একাধিকবার কল করা হরেও তিনি ফোন ধরেননি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহজের এমডি মালিহা এম কাদিরের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধরেননি। তবে খুদেবার্তা পাঠানো হলে তার জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহাত আহমেদ নিউজবাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

ফারহাত আহমেদ ই-মেইলে প্রশ্ন পাঠাতে বললে ১১ মে সেগুলো পাঠানো হয়। এর আট দিন পর বুধবার তিনটি প্রশ্নের জবাব দেন মালিহা।

তিনি দাবি করেন, দরপ্রস্তাব দাখিলের যোগ্যতা সহজের নেই- এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ‘সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভির লিড পার্টনার সহজ লিমিটেডের তৈরি করা একটি সফটওয়্যার তথা একটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এক বছরে মাত্র চারটি অপারেটরের মাধ্যমেই ৭৫ লাখের বেশি টিকিট ইস্যুর অভিজ্ঞতা রাখে। এ ছাড়া সহজ লিমিটেড-এর আছে ১০০+ বাস অপারেটর। যদিও অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা টেন্ডার বা উন্মুক্ত দরপত্রে উল্লেখ নেই। তবে সব দিক মিলিয়ে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি টিকিট ইস্যুর অভিজ্ঞতার বিবেচনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের দরপত্র অনুযায়ী টেন্ডার এলিজিবেল।’


দরপত্র ফরমে অতিরিক্ত সারি যোগ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি বাংলাদেশ রেলওয়ের আর্থিক দরপত্র প্রস্তাব অনুযায়ী ৮.০১ পর্যন্ত রোতে জেভির রেভিনিউয়ের বর্ণনা দিয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের আর্থিক দরপত্র প্রস্তাবে এও উল্লেখ আছে টেন্ডারারকে অবশ্যই তার রেভনিউয়ের বিভিন্ন এবং বিস্তারিত এভিনিউ উল্লেখ করতে হবে।

‘অতিরিক্ত ৮.০২ রোতে রেভিনিউয়ের বিভিন্ন এভিনিউয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা এবং বর্ণনা যোগ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ রেলওয়ের টেন্ডার নির্দেশনাতেই আছে। সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি কোনোভাবেই আর্থিক দরপত্রের প্রস্তাব থেকে বিচ্যুত হয়ে নিজেদের মতো করে রো কিংবা অপ্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য তৈরি করেনি বা যোগ করেনি।’

রেলের বিজ্ঞাপন আয়কে নিজেদের হিসেবে দেখিয়ে টিকিটের সার্ভিস চার্জ কম দেখানোর অভিযোগও অস্বীকার করেন মালিহা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক দরপত্র প্রস্তাব অনুযায়ী টেন্ডারারকে অবশ্যই তার রেভিনিউয়ের বিভিন্ন এবং বিস্তারিত এভিনিউ উল্লেখ করতে হবে। টেন্ডার ফরমে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে যে রেভিনিউয়ের বিভিন্ন এবং বিস্তারিত এভিনিউ সুষ্ঠুভাবে টেবিল বা রো আকারে উল্লেখ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়কৃত মূল্যের বিস্তারিত তথ্য দরপত্রে বিস্তারিতভাবে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি উল্লেখ করেছে।

‘দরপত্রের আর্টিকেল জি.৯ সেকশনের (আরইভি) টেন্ডারারকে অনুমতি দেয় তার প্রস্তাবিত রেভিনিউর বিভিন্ন এভিনিউয়ের বিস্তারিত তথ্য দেয়া এবং একই সঙ্গে কীভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে এ থেকে সার্ভিস প্রদান করতে পারবে। সেই সঙ্গে আর্টিকেল জি.৯ সেকশনের আরইভি-০২ টেন্ডারারকে অনুমতি দেয় নিজের মূল্য কমিয়ে নেবার। এগুলো পর্যালোচনা করলেই কীভাবে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি প্রতি টিকিটের টাকা ২৫ পয়সা করেছে তা মূল্যায়ন করা যাবে।’