যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে দিনাজপুর বিরল কাঞ্চন বিএম কলেজের ব্যাংকিং প্রভাষক বাদল কুমার নাগকে(৪৩)আটক করে কাহারোল পুলিশ।গতকাল(৭মার্চ)রাতে কাহারোলে কাঞ্চন বিএম কলেজের ব্যাংকিং প্রভাষক বাদল কুমার নাগকে আটক করা হয় ।
আটককৃত বিরল কাঞ্চন বিএম কলেজের ব্যাংকিং প্রভাষক বাদল কুমার নাগ কাহারোল ৩নং মুকুন্দপুর ইউনিয়নের উচিৎপুর গ্রামের মৃত মধুসূদন নাগের ছোট ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় গত ৪জুন ২৩ হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্রমতে কাহারোল উচিৎপুর গ্রামের মৃত মধুসূদন নাগের ছোট ছেলে বিরল কাঞ্চন বিএম কলেজের ব্যাংকিং প্রভাষক বাদল কুমার নাগের সাথে রংপুর তাড়াগঞ্জের নির্মল সাহার মেয়ে নিবেদিতা সাহার গাত্রদাহ সম্পন্ন হয় ।কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই বেরিয়ে আসে বাদল নাগসহ তার পরিবারের আসল চরিত্র ।বড় ভাই ও মা ছেলের পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে যৌতুকের লোভে পুনরায় ছেলেকে বিয়ে দিয়ে ধবংস করে আরেকটি জীবন। পরিবারের ইদ্দনে ধৃত আসামী বাদল কুমার নাগ বিয়ের প্রতিদান স্বরূপ ১০লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার স্ত্রী নিবেদিতা সাহাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় ।এভাবে দিনের পর দিন নিবেদিতা সাহার উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল স্বামী বাদল কুমার নাগ।
একই ধারাবাহিকতায় গত ৫জানুয়ারি ২৪ দিনাজপুরে যাবার কথা বলে নিবেদিতা সাহাকে তার বাবার বাড়িতে রেখে আসে।এরপর মোবাইল ফোনে নিবেদিতা সহ তার বাবা নির্মল সাহা বাদলসহ তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা পুনরায় ১০লক্ষ টাকা না দিলে নিবেদিতা সাহাকে গ্রহণ করতে অস্বকৃতি জানায়।নিরুপায় হয়ে নিবেদিতার বাবা গত ৩০ জানুয়ারি পুনরায় মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে আসে। তাকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে আসার পর নিবেদিতার উপর শুরু হয় আরো পাশবিক নির্যাতন।ঘটনার ধারাবাহিকতায় যৌতুকের দাবিতে পুনরায় গত ২৫ফেব্রুয়ারি বাদল সহ তার বড় ভাই ফাল্গুন নাগ,মা দীপালী নাগ,বোন শীলা মজুমদার ও তার স্বামী শ্যামল মজুমদার আবারও শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয় ।নিরুপায় হয়ে নিবেদিতা বীরগঞ্জ মামার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তার মামার বাড়ির লোকজন তাকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিবেদিতার বাবাসহ তার পরিবারের লোকজন পুনরায় কাহারোলে গিয়ে বাদল ও তার পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলতে গেলে নিবেদিতার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বের করে দেয় ।নিরুপায় হয়ে নিবেদিতা ও বাবা নির্মল সাহা আশ্রয় নেয় আইনের ।থানায় গিয়ে নিবেদিতা বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে কাহারোল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।যাহার মামলা নাম্বার ৩ তারিখ ৭মার্চ ২৪।এজাহার ভুক্ত অন্যান্য আসামীরা হলেন বাদল কুমার নাগের বড় ভাই ফাল্গুন কুমার নাগ,পিতা-মৃত মধুসূদন নাগ,মা -দীপালী নাগ ,স্বামী-মৃত মধুসূদন নাগ, বোন-শীলা মজুমদার ও তার স্বামী-শ্যামল মজুমদার।
উল্লেখিত ইতিপূর্বে বাদল কুমার নাগ কাহারোলে লক্ষী নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে যৌতুকের চাপ দিলে সেও বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয় এবুং দিনাজপুর শহরের মুন্সি পাড়া এলাকার রনজিত সরকারের স্ত্রী ৯বছরের কন্যা সন্তানের জননী শিল্পী সরকারকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ।তাকে নিয়েও কয়েকদিন ঘড় সংসার করে ছেড়ে দেয় ।বর্তমানে সে স্বামী সন্তান পরিবার হারা হয়ে বাবার এক বন্ধুর বাড়িতে কাহারোল সাধুর বাজারে অবস্থান করছে।এই মর্মে শিল্পীর স্বামী বাদলের অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিরল বিএম কলেজে একটা অভিযোগও দায়ের করে কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি বরং বাদলের সীনা আরো এক হাত বেরে যায়।বাদলের অর্থ লোভী নারী পিপাসুদের অধীনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন কতটা নিরাপদ এটাই প্রশ্ন বিবেকবান সচেতন মহলের । এই নারী পিপাসু বাদল ও যৌতুক লোভী তার পরিবারের খপ্পরে পরে আর যেন কোন মেয়ের জীবন নষ্ট না হয় এমনটাই প্রত্যাশা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপর ভুক্তভোগী পরিবারবর্গের।