অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠে ধামরাই কালামপুর সাব-রেজিষ্টার অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) সকাল থেকে প্রায় সন্ধা পর্যন্ত অভিযান চলে। অভিযানে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের, সহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মেদ ও উপসহকারী পরিচালক উজ্জল কুমার রায়সহ পাঁচ সদস্যের একটি দল দুর্নীতির অনুসন্ধান চালান।
অভিযান শেষে সাব-রেজিষ্টার মো. মঞ্জুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর তার কাছ থেকে দুর্নীতি হয়েছে মর্মে একটি লিখিত স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ। অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, কালামপুর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি প্রমান পাওয়া গেছে।
     সরকারি নির্দেশ মতে খাজনা রসিদ ছাড়া জমির দলিল করার কোনো সুযোগ নেই। গত সোমবার এ কালামপুর অফিসে ৫৯টি দলিল সম্পাদন করেছেন সাবরেজিষ্ট্রার মঞ্জুরুল ইসলাম। এর মধ্যে খাজনা রসিদ ছাড়া ১২টি দলিল মঞ্জুর করেছেন। খাজনা রসিদ ছাড়া দলিল সম্পাদন হলে জালিয়াতি করে একজনের জমি অন্যজনের নামে রেজিষ্ট্রি  করে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
     দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ অভিযান শেষে বলেন, কালামপুর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে দলিল করতে আসা মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করা হচ্ছে। তালবাহানা করে দলিলে বিভিন্ন ভুল ধরে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। অভিযান চলাকালে অনেক কাগজ-পত্র যাচাই করা হয়েছে। সেখানে প্রচুর গড়মিল পাওয়া গেছে।
    দুদক কর্মকর্তারা বলেন, এ অফিসের অডিট রিপোর্টে শত শত কোটি টাকার আপত্তি রয়েছে। তবে সব টাকা দুর্নীতি হয়নি কিছু প্রশাসনিক কাজও রয়েছে। তবে পুরো যাচাই করলে অনেক টাকার দুর্নীতি বেরিয়ে আসতে পারে। এ ছারা প্রাথমিকভাবে এ অফিসে ঘুষ নেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।  বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদন আকারে দুদক কমিশনের কাছে দাখিল করা হবে। কমিশন প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
     এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, সব দুর্নীতি আমার আমলে হয়নি। আমার আগের সাব-রেজিষ্টারের আমলে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন।