নেপালে রাজধানী কাঠমান্ডুর পাশাপাশি পোখারা ও ইতাহারিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

গান্ডকী প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে এগোলে সংঘর্ষের পর স্থানীয় প্রশাসন পোখরায় কারফিউ জারি করেছে।

বিবিসির সংবাদদাতা কৃষ্ণমণি বড়াল জানিয়েছেন, ওই কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক আন্দোলনকারীকে থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করে।

দুপুর দুইটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বেশ কিছু এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

পূর্বে ওয়াই চক, উত্তর-পূর্বে মিলন চক, পশ্চিমে ফিশটেইল গেট, উত্তরে ভূমি রাজস্ব অফিস এবং দক্ষিণে ন্যাশনাল ব্যাংক চক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বাঁধের কাছে যেখানে পর্যটন বোর্ডের অফিস পর্যন্ত এই কারফিউ জারি করা হয়েছে।

বিরাটনগর থেকে বিবিসি নেপালের সংবাদদাতা বিক্রম নিরাউলার মতে, সুনসারীর প্রধান জেলা কর্মকর্তা ধর্মেন্দ্র কুমার মিশ্র বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইতাহারি উপ-মহানগরীয় শহরের কিছু এলাকায় জমায়েত, মিছিল, বিক্ষোভ, সভা-সমাবেশ এবং অবরোধ নিষিদ্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছেন।

এর আগে, দুপুরে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করা হয়।

শহরটির জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-সমাবেশ ‘বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠার’ পর এবং সংরক্ষিত এলাকায় আন্দোলনকারীরা ঢুকে পড়লে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবন প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলে তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করতে হয়েছিল বলে বিবিসিকে বলেছিলেন এই মুখপাত্র রিজাল।