ভুক্তভোগী বাউফলের আব্দুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিম রাজা’র অভিযোগ, ‘বিদ্যালয় সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে তার ওপরে হামলা হওয়ার আশঙ্কা পূর্বেই ছিলো। প্রায় ৩মাস আগে তিনি নিরাপত্তা জনিত জিডি করেছেন বলেন তিনি।’তিনি জানান, ঘটনার দিন বিলবিলাস বাজার থেকে অটোরিকশা যোগে চোখের ডাক্তার দেখাতে পটুয়াখালী জেলা শহরে যাচ্ছিলেন।

গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে উপজেলার বাউফল বগা সড়কের একটি স্থানে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষকের।

ভুক্তভোগী বাউফলের আব্দুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিম রাজা’র অভিযোগ, ‘বিদ্যালয় সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে তার ওপরে হামলা হওয়ার আশঙ্কা পূর্বেই ছিলো। প্রায় ৩মাস আগে তিনি নিরাপত্তা জনিত জিডি করেছেন বলেন তিনি।’তিনি জানান, ঘটনার দিন বিলবিলাস বাজার থেকে অটোরিকশা যোগে চোখের ডাক্তার দেখাতে পটুয়াখালী জেলা শহরে যাচ্ছিলেন।

বগা – বাউফল সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের একটু সামনে পৌছালে দুইটি মোটরসাইকেল তাদের গতি রোধ করে। কোন কারন ছাড়াই তাদের মধ্য থেকে ফরিদ গাজী এসেই তাকে চড়থাপ্পড় মারতে শুরু করেন।এরপরে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় তাকে৷ অন্যযাত্রীরা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় পরে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।

স্কুল সংক্রান্ত বিরোধের কারণে প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম বখাটে ফরিদ গাজী সহ কয়েক জনকে উষ্কানি দিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।অভিযোগ অস্বীকার করে ফরিদ গাজী বলেন, ‘আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে সেলিম রাজা এই অভিযোগ করছেন।আমি শুনেছি তিনি মামলা করবেন, আমি আইনী ভাবেই তার সাথে লড়াই করবো। কারণ কেউ অভিযোগ দিলেই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয় না।

বাউফল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ভাস্কর পাল বাপ্পি,বলছেন, তার বাম পাশের কানে আঘাত আছে। তিনি ওই কানে শুনতেও পারছেন না- বললেন৷ তাকে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞদের কাছে রেফার করা হয়েছে৷ আপাতত প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট ও পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে ভর্তি করা হয়েছে।বাউফল থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন বলছেন, তাকে প্রাথমিক ভাবে মুঠোফোনে ভুক্তভোগী শিক্ষক ঘটনাটি জানিয়েছেন। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি৷ অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷