মামলাটির আয়ু হিসেবে দায়িত্ব পাপ্ত হন কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই হাফিজুর রহমান। মামলার প্রধান এজাহারনামীয় আসামি শাহীন কে র্যাবের সহযোগিতায় আজ নোয়াখালী জেলা থেকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর থানার আওতাধীন এলাকায়। এ বিষয়ে সদর থানায় গত ৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে একটি মামলা (নং-৬) দায়ের করা হয়, যা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ৮(১)/৮(২)/৮(৩)/৫/৬ ধারায় রুজু হয়।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ সিপিসি-১ ও র্যাব-১১ সিপিসি-৩ (নোয়াখালী) এর সহযোগিতায় একটি আভিযানিক দল ১৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখ বিকেলে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন পৌরসভা হাউজিং সেন্টার রোড সংলগ্ন সুরমা ভবনের সামনে থেকে মামলার প্রধান আসামি মোঃ শাহিন ইসলাম (৩০), পিতা-মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাং-সাহারবাটি, থানা-গাংনী, জেলা-মেহেরপুরকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত আসামিকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার মাধ্যমে মামলার তদন্তকারী কুষ্টিয়া মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান কুষ্টিয়ার এসআই হাফিজুর রহমান। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেটিজেনরা বলছেন, একজন শিক্ষকের পবিত্র দায়িত্ব ও আস্থার সম্পর্ককে ভণ্ডুল করে এই শিক্ষক শাহীন পুরো শিক্ষক সমাজকেই কলঙ্কিত করেছেন। এই ধরনের ঘৃণ্য অপকর্ম শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে।সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অপরাধ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। তাই অভিভাবক, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি।র্যাব জানায়, এমন অপরাধের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন ব্যক্তিমালিকানাধীন অপরাধপ্রবণতা থেকে রক্ষা করতে সমাজের সকল স্তরের সম্মিলিত সচেতনতা প্রয়োজন।