রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে পুলিশের ওপর হামলা ও সাতটি ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় ছাত্রদল, যুবদল, কাউন্সিলরসহ ১৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার আটক রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকার এনায়েত শেখের ছেলে আক্তার হোসেন (২৮) ও গোয়ালন্দ উপজেলার নীলু শেখের পাড়া এলাকার মো. নুর ইসলাম শেখের ছেলে শিপন শেখকে (১৯) রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা গেছে, রোববার বিকেল ৩টার দিকে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমানের নেতৃত্বে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে পুলিশ সদস্যদের গুলিতে ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়ন মিয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি আজাদী ময়দানের গেইট পর্যন্ত আসে। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেন। পরে তারা বিএনপি অফিসের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান ও সদস্য সদস্য শাহিন।

জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ১০-১২ জন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হন। ককটেল উদ্ধারের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। মামলা সূত্রে জানা যায়, পুলিশের ওপর হামলা ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় এসআই সেলিম বাদী হয়ে আক্তার হোসেন, শিপন শেখ, জেলা যুবদলের সভাপতি খায়রুল আলম ওরফে ভিপি বকুল (৪৫), রাজবাড়ী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্রাট, আরিফ, মনোয়ার হোসেন মিন্টু, মুরাদ মণ্ডল, মহিউদ্দিন আহম্মেদ ওরফে গিটার, মো. রকি, মো. মাসুদ, মো. হাসান মিজি, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. শাহিনুর রহমান শাহিন, রিফাতসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে কনস্টেবল মো. হাসান আহত হয়। তাকে রাজবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিএনপি অফিসের পাশ থেকে পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসআই সেলিম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’