ফরিদপুরের সদরপুর পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা । সকাল থেকে সারা দিন চাষিরা নদী নালা ও খাল বিলে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন । বৃষ্টি ও পানি না থাকায় পাট কাটা ও জাগ দেওয়া নিয়ে শংশয় কমলেও পাটে খরচের পরিমান বেড়ে গেছে । তার পরও স্বপ্নের সোনালী আঁশ দেখে চাষিদের স্বস্তি ফিরে এসেছে। জানা জায়, এই উপজেলায় মানুষের আয়ের প্রধান একটি অর্থকরী ফসল হচ্ছে পাট। পাট চাষ করে অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। এ বছর উপজেলায় ৭২৯৮ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
বর্তমানে চলছে পাট কাটা ও আঁশ ছাড়ানোর কাজ। এ বছর পাট উৎপাদনে চাষীদের অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। প্রথম দিক থেকেই ছিলোনা তেমন বৃষ্টি। সেচের মাধমে বেড়ে উঠেছে পাট। কর্তনের শুরুতে ও পাট পচনের সময় নেই কোন পানি। অল্প কয়েকদিন ধরে নদী নালা ও খাল বিলে কিছু পানি এসেছে। এই পানিতেই পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছে চাষীরা। পাট চাষী বিরাজ মোল্লা বলেন- পাট কাটার সময় কোন পানি ছিলো না। তাই পাট কেটে যানবাহনে করে খাল ও নদীতে পাট জাগ দেওয়া হয়েছে। এতে খচর বেড়ে যায়।
সেই তুলনায় পাটের দাম বাড়ানোর দাবী করেছে চাষীরা। উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন- প্রথমে বৃষ্টি না থাকায় পাট চাষীদের সেচ বেশি লেগেছে। আবার পাট কাটার সময় জমিতে পানি নেই। পাট কেটে অন্যত্র নেওয়া লেগেছে। সেই হিসাবে খরচ কিছুটা বেশি বেড়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন- এবার উপজেলায় মোট ৭২৯৮ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট আবাদের শুরু থেকেই পাট চাষীদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখন চলছে পাট কর্তন ও পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ। এ বছর পাটের ফলনও ভলো হয়েছে।