এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ছেলে আল আমিনকে হাজতে রাখতে লিখিত অভিযোগ করেন মা আলেতন বেগম। তিনি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নে পশ্চিউদাখালী গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার স্ত্রী। অভিযোগে মা আলেতন বেগম বলেন, ঢাকায় ইটভাটাতে কাজ করে ছেলে আল আমিনকে এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করাইছি। ভালো ও সুন্দর মেয়ে দেখে বিয়েও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ এলাকার নেশাগ্রস্ত ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে আল আমিন এখন নেশা করা ছাড়া থাকতে পারে না। গাঁজা খেয়ে বউকে অত্যাচার করার কারণে আল আমিনের সংসার ভেঙে গেছে। ঋণ নিয়ে ওর বউকে বিদায় করতে হয়েছে। এসব কথা বলে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন মা আলেতন বেগম।
তিনি আরও বলেন, এক সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত আমার আল আমিন। ওর নেশার টাকা জোগাড় করতে ৭০ বছর বয়সী আমার বৃদ্ধ স্বামী আজও কামলা (কৃষাণ) দেয়। নেশার টাকা না দিতে পারলে আমাদেরকে আলামিন মারধর করে। আমরা ওর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। তাই ওকে ভালো করার জন্য জেল হাজতে দিতে চাই। এছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। ফুলছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলী বলেন, মাদকাসক্ত আল আমিন বাড়িতে গাঁজা সেবন করছিল। স্থানীয়দের খবরে ফুলছড়ি থানা পুলিশ গাঁজা সেবন অবস্থায় তাকে আটক করে। তাকে হাজতে রাখতে গত দুই দিন আগে তার মা ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। তাকে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।