১৪ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণের দিকে যাত্রা শুরু হয়েছিল জার্মান তরুণী মার্টিনা ওবারহোলজনার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) দুবাইয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি।
ইসলামে প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া নওমুসলিম এই জার্মান তরুণীর নাম এখন মারিয়াম। এবার রমজান মাসে রোজাও রাখছেন তিনি।
খালিজ টাইমস জানিয়েছে, জার্মান প্রবাসী মার্টিনা ওবারহোলজনার এখন মারিয়াম নামে পরিচিত এবং এই বছরের শুরুতে ইসলাম গ্রহণের পর দুবাইতে এবার তিনি প্রথম রমজান পালন করছেন। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণী পবিত্র কোরআনের জার্মান সংস্করণ অধ্যয়নের মাধ্যমে তার নতুন বিশ্বাসের শিক্ষার মধ্যে প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছেন।
১৪ বছর বয়সে তার নিজ শহর মিউনিখের একটি মসজিদে গিয়েছিলেন মার্টিনা ওবারহোলজনার।
সে সময়ের কথা স্মরণ করে মারিয়াম বলছন, মসজিদে আন্তরিকতা ও উষ্ণতার সঙ্গে আমাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল এবং তাতে আমি অভিভূত হয়েছিলাম। সেখানে আমি যে সহানুভূতি অনুভব করেছি তা আমার ওপর স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মারিয়াম নিজেকে মুসলিম বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতদের সঙ্গে আরও যুক্ত করেন। তিনি বলেন, তাদের সম্পর্কে যা আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছিল তা হলো- তারা সর্বদা ছিলেন দয়ালু, সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে সাহায্যকারী মানুষ, যা আমার ইসলাম গ্রহণের অন্যতম প্রধান কারণ।
২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে মারিয়াম কয়েক সপ্তাহের জন্য গিয়েছিলেন। আর সেখানে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে নিজেকে ইসলামিক সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত করেন।
এরপর মারিয়াম তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গত বছরের আগস্টে জার্মানিতে ফিরে যান। কিন্তু দুবাইয়ে ফিরে যাওয়ার কথা তার মাথায় অটল অবস্থায় থেকে যায়। ফিরে আসতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ মারিয়াম এরপর আবারও চাকরির জন্য আবেদন করতে শুরু করেন এবং শেষমেষ তিনি ভালো সুযোগও পেয়ে যান।
অবশেষে ২০২৩ সালের অক্টোবরে মারিয়াম দুবাইতে চলে আসেন। এখানে প্রথমবার কুরআন পড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এক অবর্ণনীয় সংবেদন অনুভব করেন।
সেকথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমি সেই অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না। মাত্র ৫০ পৃষ্ঠার পড়ার পরই আমি মনে মনে বুঝতে পারলাম, আমি ইসলাম গ্রহণ করতে চাই।
মারিয়ামের সেই যাত্রা চলতি বছরের শুরুর দিকের এক শুক্রবারে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।(সূত্র;যুগান্তর)