গতকাল মঙ্গরবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এ সময় কয়েকশত শিক্ষার্থী ব্যানার ও বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন নিয়ে কালাইয়া বন্দর ঘুরে ৬ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ওই বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

গতকাল মঙ্গরবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এ সময় কয়েকশত শিক্ষার্থী ব্যানার ও বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন নিয়ে কালাইয়া বন্দর ঘুরে  ৬ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

এ সময় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাউফল সরকারী কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রী কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ফলে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে বাউফল পৌরএলাকা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজি বরাবর একটি স্মরকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিন কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বিদ্যালয়ের মূল ফটকের পাশের দেয়াল ভেঙ্গে দোকান ঘর তৈরি করে সেগুলো ভাড়া দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ছাদে ডিস লাইন স্থাপন করা হয়েছে। সেই লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে গত বছর ১২ মে দশম শ্রেনির বিল্লাল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার ঘটনায় কোন বিচার পায়নি নিহত পরিবার। এছাড়ওা তাঁর বিরুদ্ধে রযেছে জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। 

এবিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিনের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।বাউফল উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ বশির গাজি বলেন, শিক্ষার্থীর স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।