বেনাপোল দিয়ে ২০২৩ এর মার্চ থেকে পেয়াজ বন্ধ ছিল। প্রায় আড়াই বছর পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে  আবারও পেয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রথম চালানে ১৫ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট)  বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, সোমবার (২৫ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে প্রথম চালানে ১৫ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের মান পরীা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের এস এম ওয়েল ট্রেডার্স এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং কর্পোরেশন।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে ভারত। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিল। এতে করে পেঁয়াজ কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষের গুনতে হচ্ছিল অতিরিক্ত টাকা। অবশেষে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।

কাস্টমস সূত্র জানায়, প্রতি মেট্রিকটনের দাম ৩০৫ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা দেখিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে মানভেদে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে।বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রাজন হোসেন জানান, কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পেঁয়াজের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।