সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।


সাক্ষাতে সেনাপ্রধান তার সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। একইসঙ্গে বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট সরকারি সফরে চীনে যান সেনাবাহিনী প্রধান। ২৭ আগস্ট রাতে তিনি দেশে ফেরেন।

 পরেরদিন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চীন সফরে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্কুল বাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইসহ উচ্চপদস্থ চীনা সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

 সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) সেনাবাহিনী প্রধান পিএলএ’র সদর দফতরে পৌঁছালে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়। পরবর্তীকালে সেনাবাহিনী প্রধান পিএলএ’র স্থল বাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নতিতে চীনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার বিষয়টি আলোচনা করা হয়।

এরপর শনিবার (২৩ আগস্ট) সেনাপ্রধান চীনের নরিনকো গ্রুপের প্রেসিডেন্ট চেন ডিফাংয়র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রচলিত নরিনকো গ্রুপের বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জামাদির আপগ্রেডেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ও উক্ত বৈঠকে আলোচনা হয়। এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান পিএলএ’র একাডেমি অব আরমোর্ড ফোর্সের বেইজিং ক্যাম্পাসের প্রশিক্ষণ সুবিধাদিসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন গবেষণাগার পরিদর্শন করেন। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মানের ওই একাডেমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন।

 এছাড়া, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান বেইজিং ও শিয়াংয়ে অবস্থিত নরিনকো গ্রুপের বিভিন্ন কারখানা ও গবেষণা কেন্দ্র, চায়না অ্যারোস্পেস লং-মার্চ ইন্টারন্যাশনার কো লিমিটেড এবং আইশেং ইউএভি ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন।