মামলা দায়েরের পর শাহাদাত হোসন ও খোকন চদ্র দাসের আইনজীবীদের মাধ্যমে একটি সমঝোতা হয়। উক্ত সমঝোতা করার পর আদালত সোলনামা দায়েরের মাধ্যমে সকল মামলা প্রত্যাহার ও বিরোধকৃত বিষয় মিমাংসা হয়।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১নং ওয়াডে খোকন চদ্র দাস পিতা হরিমোহন দাস এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে মানুষের জমি দখল চাঁদাবাজি নিজ ধর্মের লোকদের হয়রানি ও বিতাড়িত করার অভি যোগ উঠছে । বিভিন অভিযোগ ও মামলা সূত্র জানা যায়, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডর উত্তর মজুপুর গ্রামের খোকন চদ্র দাস এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি মানুষকে জমি থেকে উছেদ ও নিজ ধর্মের লোকজনকে মামলা দিয়ে বিতাড়িত করা সহ বিভিন অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, বিগত ১৭/০৭/২০২২ ইং তারিখ অঞ্জলি বালা দাস ও প্রবীর চদ্র দাস পিতা ধীরেন্দ্র  কুমার মাতা পারুল বালা দাস থেকে মজুপুর মৌজার সাবেক ১০১,১০৩.১০৪, দাগ যা হালে ১১৪১,১১৪৬,১১৪৯ দাগ সাড়ে ৮ শতাংশ জমি ৬২১৪ নং সাব কবলা দলিল মূলে খরিদ করেন। যা অঞ্জলি বালা দাস ও প্রবীর দাস খরিদ সূত্র ও মাতার ওয়ারিশ সূত্রে দীর্ঘ দিন থেকে ভোগ দখলে ছিলেন।

পরবর্তীতে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি বিক্রি করার পর এডভোকট শাহাদাতের  নিকট দখল বুঝিয়ে দেন। এ্যাড: শাহাদাত হোসন নিজ নামিয় ও দখলীয় জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল ও টিনসেট ঘর নির্মাণ করতে গেলে খোকন চদ্র দাস ও তার লোকজন বাধা দেন।উক্ত বিরোধকৃত বিষয় নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় ও আইনজীবী সমিতিতে বসা হলেও  খোকন চদ্র দাস তার মালিকানা পক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। উক্ত ঘটনার পূর্বে খোকন চদ্র দাস শাহাদাত হোসনের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।  এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয় যার নং-৪৬৩। মামলা দায়েরের পর শাহাদাত হোসন ও খোকন চদ্র দাসের আইনজীবীদের মাধ্যমে একটি সমঝোতা হয়। উক্ত সমঝোতা করার পর আদালত সোলনামা দায়েরের মাধ্যমে সকল মামলা প্রত্যাহার ও বিরোধকৃত বিষয় মিমাংসা হয়।  আদালতের সোলনামা দাখিলের পর শাহাদাত হোসেন তার নিজ খরিদকত জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল ও টিনসেট ঘর নির্মাণ করত গেলে খোকন চদ্র দাস পুনরায় বাধা দেন।

এত বাধায় কাজ না হওয়ায় গত ৮/০৫/২০২৩ ইং তারিখ আদালতে একটি ১৪৪ ধারা মামলা দায়ের করেন। উক্ত জমির দাতাগণ ২০০৬ সাল খোকন চদ্র দাসের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন যার নং-৭৬০। মামলা দায়েরের পর খোকন চদ্র ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি ধামকিত মামলার বাদী পুতুল রাণী দাস ও তার স্বামী প্রবীর চদ্র দাস নিরাপত্তার অভাবে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এছাড়া খোকন চদ্র দাস এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি  জমিদখলসহ বিভিন অপকর্মের সাথে জড়িত রেয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এ ব্যাপার লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড: সাহাদাত হোসেন জানান, আমি উত্তর মজুপুর মৌজার খোকন চদ্র দাসর বাড়িতে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি খরিদ করি। এতে খোকন দাস ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন ভাবে আমাকে হয়রানি করছে। বার বার সমঝোতা হলেও তিনি তা মানছেন না। অভিযোগের ব্যাপারে খোকন চদ্র দাসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি দেখা করে বিস্তারিত বলবেন বলে জানিয়েছেন।