প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রানি খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ঋতু পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাস প্রকৃতিও সেজে ওঠে ভিন্ন রূপে।
রবিবার ২১শে আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সকালবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন ক্যাম্পাস শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। দূর্বা ঘাসে কিংবা গাছের কচিপাতায় মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে শীত আসছে। ঘন কুয়াশা ভেদ করে পূর্ব দিগন্তে সূর্যের উদয়।
ভোর সকালে ক্যাম্পাস অঙ্গনে পড়তে শুরু করেছে হালকা কুয়াশা। সেইসঙ্গে অনুভূত হচ্ছে মৃদু ঠান্ডা।প্রতিবারের মতো এবারও বর্ষার ঘনঘটা শেষ করে কার্তিকের কোল জুড়ে শীতের আগমন ঘটেছে। শীত যেন ক্যাম্পাস প্রকৃতিতে আনে ভিন্নমাত্রা। এদিকে শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই ক্যাম্পাস অঙ্গনে পাখির পদচারণা বেড়েছে।
পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভরে উঠেছে ক্যাম্পাস প্রকৃতি। ঘন গাছপালার মধ্যে দিয়ে কুয়াশার লুকোচুরি খেলা বেশ শোভা ছড়াচ্ছে। ভোর হলেই শীতের সকাল দেখতে বেরিয়ে পড়ছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীর। শীতের কুয়াশামাখা ভোরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে প্যারিস রোড। ক্যাম্পাসের শীত মানেই গায়ে চাদর জড়িয়ে প্রেমিক প্রেমিকার চা খাওয়া, চাদরের ভিতর খোঁচগল্পে মেতে উঠা।
শীত আসলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন আনন্দ উৎসবের সঞ্চার ঘটে। ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠা চত্ত্বরগুলো চায়ের কাপের টুং টাং শব্দে ভরে ওঠে। হাঁসি-ঠাট্টা আর সঙ্গীতের তালে তালে সৃষ্টি হয় শত শত গল্প ও কবিতা।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রবিন বলেন, ‘ভোর বেলা কুয়াশা পড়তে শুরু করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে শীতের আগমনী বার্তা।’
এখানে শীতের আগমন ঘটে একটু ভিন্নভাবে। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে অতিথি পাখিরা। জমে ওঠে পিঠে-পুলির আড্ডা। প্রকৃতি সেজে উঠছে এক অপরূপ রূপে। সবুজ ঘাসের উপর মুক্তোর দানার মতো ছড়িয়ে থাকা শিশির বিন্দু আর চারদিকে অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দ জানান দিচ্ছে শীত এসে গেছে।