তবে প্রতিবন্ধী ফারুক মোল্যাকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আহসান মাহমুদ রাসেল।

ফারুক মোল্যা বয়স ৩৫ বছর। যে বয়সে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে জীবন-যাপনের কথা, সেখানে শুয়ে বসে জীবন কাটছে প্রতিববন্ধী ফারুক মোল্যার। নিজের পায়ে ভর করে পারেন না দাঁড়াতে, চলাচলে ও অক্ষম । এক দিন নয়, দুই দিন নয় এমন কষ্ট ৩৫ বছর ধরে। এমনটাই করুন অবস্থা ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলা ঢেউখালী ইউনিয়নে চন্দ্রপাড়া এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক ফারুক মোল্যার । অর্থের অভাবে জুটছে না চিকিৎসাও। সংসারে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রতিবন্ধী ফারুকই ছোট। 

সংসারে বাবা না থাকায় বড় ভাই ভ্যান চালিয়ে দিনে যা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। বৃদ্ধ মা ও ভাইয়ের উপর ভর করে চলতে হয় তার। তাই বৃদ্ধ মা জেলেকা বেগমই প্রতিবন্ধী ছেলের একমাত্র ভরসা। মমতা আর ভালোবাসায় প্রতিবন্ধী ছোট ছেলেকে নিয়ে মা জেলেকা বেগম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। জেলেকা বেগম বলেন সন্তন সুস্থসবল ও কর্মঠ হয়ে, আয়-রোজগার করবে, বৃদ্ধ মা-বাবার যতে নিবে কিন্তু সেখানে উল্টো প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ সংগ্রাম করতে হচ্ছে আমার।

প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়ে সন্তানের কিছু খরচ চলেও কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে । সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা প্রতিবন্ধীর সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন এমনটাই চাওয়া বৃদ্ধ মা ও দিন ভ্যান চালক ভাইয়ের। তবে প্রতিবন্ধী ফারুক মোল্যাকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আহসান মাহমুদ রাসেল।