নীলফামারীর সৈয়দপুরে তরুণ রাফিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। সোমবার (১২ মে) দুপুরে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের
সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে
আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, বিশেষ করে ফাঁসির দাবি জানান।

এর আগে, গত শুক্রবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর
ইউনিয়নের ধলাগাছ এলাকার সুখীপাড়ার পাশে ধানক্ষেতে তরুণ রাফিক (২২) এর
ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন রাতেই নিহতের বাবা হাফিজুল
হক বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে থানায়
একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফইম উদ্দিন জানান, মামলা
দায়েরের পরপরই এজাহারভুক্ত আসামি সোনা মিয়াকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি ঘটনার স্থানসংলগ্ন সুখীপাড়ার মৃত আজিবর রহমানের ছেলে।

তিনি আরও জানান, “ঘটনার পর থেকে বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে তাদের
গ্রেপ্তারে পুলিশ, ডিবি ও র‌্যাব যৌথভাবে কাজ করছে।”

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পূর্বের একটি বিরোধের
জেরে রাফিকের পরিবারকে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের করা মামলা তুলে
নিতে চাপ দিচ্ছিল আসামিরা। মামলা না তোলায় পরিকল্পিতভাবে রাফিককে হত্যা
করা হয়। লোহার রড বা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা শেষে লাশ
ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায় ঘাতকরা।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী অবিলম্বে সকল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে কঠোর
শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।