হবিগঞ্জের রশিদপুরে বন্ধ থাকা গ্যাসকূপ থেকে দৈনিক পাওয়া যাবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। আগামী ১০ বছর কূপটি থেকে পাওয়া যাবে ২৫.৫৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যার মূল্য প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ কূপটি রিফ্রেশ করতে খরচ পড়বে ৭৩ কোটি টাকা।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম (মেইনটেনেন্স) মো. শহিদুল্লাহ।

তিনি বলেন, কূপটি চালু হলে দৈনিক ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রাপ্তির খবর খুবই আশাবাদ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সবচেয়ে সুবিধার হচ্ছে পাইপলাইন ও প্রসেস প্ল্যান্ট বিদ্যমান রয়েছে। গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে অন্য কোনো জটিলতাও নেই।

জানা গেছে, হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ থাকা পুরোনো ৩ নম্বর কূপ রিফ্রেশ করার পর প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার কথা জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। এ কূপ দিয়ে আগেও গ্যাস সরবরাহ করেছিল তারা। পরে সেটি বন্ধ হয়ে পড়ে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ওই কূপটিতে ৫ সেপ্টেম্বর ওয়ার্কওভারের সময় প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রবাহ নিশ্চিত হয়েছে বাপেক্স।

আগামী দশ বছর কূপটি থেকে ২৫.৫৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়ার্কওভার কাজে প্রায় ৭৩ কোটি টাকার মতো খরচ প্রাক্কলন ব‍্যয় ধরা হয়েছে। আর কূপটি থেকে প্রাপ্ত ২৫.৫৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের দাম (আমদানিকৃত এলএনজির মূল্য ঘনমিটার ৬৫ টাকা) ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের আওতাধীন গ্যাস ফিল্ডগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রশিদপুর-৩ এর পাশাপাশি রশিদপুর-১১ ও ১৩ নম্বর কূপ খননের প্রকল্প চলমান। সফলভাবে শেষ করা গেলে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড।

১৯৯৪ সাল থেকে ৩ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। গেলো বছরে কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। এ কূপে অনুসন্ধানের পরে গ্যাসের একটি বড় লেয়ার পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া কূপটিতে নতুন করে কাজ শুরু হয়।