১২ মাস পানিবন্দি গৌরনদীর শতাধিক পরিবারের জীবনযাত্রা জিম্মি হয়ে আছে একটি ফ্যাসিস্ট পরিবারের কাছে। 

গৌরনদী উপজেলার ৩ নং চাঁদশী ইউনিয়নের, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ গোবর্ধন ও নরসিংহলপট্টি গ্রামের আমরা শতাধিক পরিবার  আজ হুমকির মুখে। এই এলাকাটি একটি সমতল এলাকা। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি স্থানীয় জলবদ্ধতা তৈরি করে। তারপর রয়েছে উত্তর বিজয়পুর ও দক্ষিণ বিজয়পুর থেকে আসা ঢালের পানি। এই এলাকা থেকে পানি বের হওয়ার জন্য শত বছরের চিরাচরিত দুইটি পথ ছিল। ১. দক্ষিণ নাঠৈ মজিবর সরদার এবং শিমুল বেপারী বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজ এর নিচ দিয়ে এবং ২. নরসিংহলপট্টি আকু-আক্কেল এর বাড়ির দক্ষিণ পাশের জামাল সরদার এর বাড়ী সংলগ্ন ব্রিজ এর নিচ দিয়ে। এই দুইটি জায়গা দিয়ে পানি নিম্নগামী হত। এই দুইটি জায়গায় এখন সবাই বসতবাড়ি করে পানি নামার যে নালা বা পথ ছিল সেটা তারা বন্ধ করে দেয়। বিশেষ করে দক্ষিণ নাঠৈ ব্রিজ দিয়ে সব সময় পানি নামার প্রক্রিয়াটি ছিল সেটি তারা সম্পূর্ণ  বন্ধ করে দিয়েছে ।  যে কারণে আমরা এই এলাকাবাসী পানিবন্দী অবস্থায় অত্যন্ত অমানবিক ও অসহনীয় অবস্থায় বসবাস করছি। আমাদের সাধারণ জীবনযাত্রা আজ ব্যাহত। বিশেষ করে বৃদ্ধ নারী পুরুষ ও শিশু সবাই এই জলাবদ্ধতার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি। এমনকি শিশুদের জীবন হুমকির মুখে। যেকোনো সময় যেকোনো শিশু এই জলাবদ্ধ পানিতে ডুবে মারা যেতে পারে। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। কাজকর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য আজ হুমকির মুখে। প্রতিটা গৃহের পাকের ঘর, টয়লেট, নলকূপের পানি আজ চরম হুমকির মুখে। জলাবদ্ধ পানি নামার স্বাভাবিক যে প্রক্রিয়া ছিল তা আজ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ওই দুইটি জায়গায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে  দুইটি ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন যাতে করে পানি নামতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে,
এলাকাবাসী ওই দুইপরিবারের কাছ অনেক ধরনা ধরেও কোন সুরাহা পায়নি। এলাকাবাসী তাদের নিজ অর্থায়নে পানি নামার স্বাভাবিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যে চুঙ্গা বা ডঙ্গা দরকার সেটি সরবরাহ করার প্রস্তাব দেয় কিন্তু তারা সকল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং তারা গ্রামবাসীদের হামলা মামলার হুমকি দেয় । এমতাবস্থায় আমরা গ্রামবাসী স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ ও সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি অতি দ্রুত আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ।