পুরাতন,মেয়াদোত্তীর্ণ ও ঝুঁকি পূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যানবাহন ও লাখো মানুষের চলাচল।


প্রায় ৪০ বছর পূর্বের তিস্তা  নদীর  সংযোগ খালের  উপর  নির্মিত চিলমারী উপজেলার বালাবাড়ি হাট এলাকার নালার পাড়ের ব্রিজটি বর্তমানে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় এলাকাবাসীর জন্য একটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। 

 ব্রিজ পারাপারে অত্র অঞ্চলের  প্রায় ২ লক্ষ লোকের বসবাস হালকা ও ভারী যানবাহনে চলাচল করে প্রতিনিয়ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, হাট বাজারে , ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাওয়া আসা, মালবাহী যানবাহন মালামাল সহ মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতেছে। 

জরাজীর্ণ ব্রিজটি পূর্বে চিলমারী কুড়িগ্রাম বাইপাস সড়ক, গাবেরতল কুড়িগ্রাম জেলার সাথে সংযোগ সড়ক পশ্চিমে উলিপুর, বজরা, উমানন্দ, কাশিমবাজার চিলমারী সদরের সাথে সংযুক্ত। 

প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করলেও ব্রিজটি ঝুঁকি পূর্ণ  হওয়ায় চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ও চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চলাচলকারীরা। 

ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত রিক্সা অটোরিকশা, ট্রাক্ট,  পিকআপ ভ্যান চলাচলের সময় ব্রিজটি কেঁপে কেঁপে ওঠে। 

নীচ দিয়ে নদীর চলমান খাল হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানির তীব্র স্রোতে ব্রিজটির দুপাশের মাটি ও প্রটেকশন স্লাপগুলো ভেঙ্গে গিয়ে মারাত্মক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিজের নিজের অংশ ফাঁটল দেখা দিয়েছে ও হেলে গিয়েছে।

যাতায়াতকারী ও নালা পাড়ের বাসিন্দা -লুৎফর, বিপ্লব, সাজু মিয়া, জামাল উদ্দিন, সাইফুল সহ অনেকেই অভিযোগ করেন ১৯৮৬ সালে ব্রিজটি  নির্মিত হলেও প্রতি বছরের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৮৮ সালের বন্যায়   ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হলেও সরকার দায়সারা ভাবে সংস্কার করেন।

বন্যার কারণে  ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা নির্মাণ কালীন ত্রুটির কারণে প্লাস্টার, রেলিং ভেঙ্গে লোহার রড বেরিয়ে গেছে। নিয়মিত সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্রিজটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আরো জানান,  সরকারি লোকজন ৪/৫ বছর ধরে ব্রিজে এসে মেপে, ছবি তোলে নকশা করে চলে যায়,  কাজ আর হয় না। 

অত্র এলাকায় দুটি ইট ভাটা অবস্থান করায় ভাটার মালামাল - কয়লা, মাঠি ও ইট -ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে  আনা নেওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ব্রিজটি। 

এলাকাবাসী ও চলাচলকারিরা কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার যোগাযোগ করা হলেও প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে মারাত্মক ক্ষয়- ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। 

তাদের দাবি অতি দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করা হোক। তাদের জোর দাবি  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি ও দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।