পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার মোঃ ইসমাইল রহমান এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, বহিস্কৃত ৯ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য আইনি নোটিশ।

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসমাইল রহমান কোন  যথাযথ কারণ ছাড়াই এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেন। ফলে উক্ত শিক্ষার্থীগন এবং তাদের পরিবারে  নেমে এসেছে গভীর বেদোনা। তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।  সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলে তিনি বহিষ্কারাদেশের কোন পরিবর্তন করবেন না বলে জানান।  

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এভাবে বহিষ্কার করায় শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি দেশের প্রত্যেক বিবেকবান ব্যক্তি কে আলোড়িত করেছে।  ঘটনা দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয় যে সংশ্লিষ্ট সহকারি কমিশনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিপীড়নমূলক, বেআইনী এবং অযাচিত ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে নয় জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব বিষয় বিবেচনা করে ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এর পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির, আইনজীবী মোঃ রোকনুজ্জামান এবং নাইম সরদার আজ উক্ত আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব,  জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী, সহকারি কমিশনার মোঃ ইসমাইল রহমান, খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নুসরাত জাহান কে আজ সন্ধ্যায় ইমেইল যোগে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। উক্ত নোটিশে নয়জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার পূর্বক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দান, প্রত্যেক  শিক্ষার্থীকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য  সহকারী কমিশনার মোঃ ইসমাইল রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও বিবাদিদের জানানো হয়েছে।