দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই জোরে সোরে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন দশমিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা আট-ঘাট বেধেঁ প্রকাশ্যে সমর্থন আদায়ে মাঠে নেমেছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই জোরে সোরে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন দশমিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা আট-ঘাট বেধেঁ প্রকাশ্যে সমর্থন আদায়ে মাঠে নেমেছেন।

তবে, কে হচ্ছেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী?  প্রার্থীদের ঘিরে চলছে নানান জল্পনা - কল্পনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলীয় নেতা ও কর্মি সমর্থকেরা দিচ্ছেন পছন্দের সম্বব্য প্রার্থীদের পোস্ট। সমর্থন আদায়ে  দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।

দেশ ও জাতির উন্নয়নে, কল্যানে ও গননতন্ত্র রক্ষায় স্থানীয় সরকার প্রতিস্ঠায় ১৯৮২ সালে ৭ নভেম্বর বাংলাদেশে প্রথম উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়। অতপর ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। আবার,১৯৯১সালে বাতিল করা হয় উপজেলা পরিষদ।

এর পরে ১৯৯৮ সালে ১ ফেব্রুয়ারি পুনরায় চালু করা হয় উপজেলা পরিষদ। ২০০৯ সালে আবারও সংশোধিত হয় উপজেলা পরিষদ আইন। 

যে সুত্রের আলোকে দশমিনা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যাম হিসাবে সেবা দিয়েছেন সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি   প্রয়াত ওয়ালীউল ইসলাম তালুকদার সেনু মিয়া,উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম চৌধুরী কালু মিয়া। অতপর দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আবদুল আজিজ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন শওকাত, পুনরায় আসেন আবদুল আজিজ মিয়া।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে হেট্রিক করেছেন ডাক্তার সামছুননাহার খান ডলি। 

তবে এবার দলীয় প্রতীক না থাকার কারনে, রেকর্ড পরিমান প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  আবদুল আজিজসহ প্রায় হাফ ডজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম রয়েছেন এ তালিকায়।

এদের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড,শাখাওয়াত হোসেন শওকাত,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাজী আবু বক্কর ছিদ্দিক,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এ্যাড,বশির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইসচেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পালোয়ান, আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল হোসেন হাওলাদার।  

ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন যুবলীগ নেতা তমিজ উদ্দিন তমান জোমাদ্দার,মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, মোঃ বেল্লাল হোসেন এবং উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান ফকরুজ্জামান বাদল। তবে এ   নির্বাচনে মহিলা প্রার্থী হিসাবে অংশ গ্রহন করে  বর্তমান মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ডলি খানকে ভোট হারানোর মত কোন প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদন্ধিতা বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ যায়গা থেকে শতভাগ বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি।

উপজেলায় ৪৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১,১৪,১৮৩ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৫৭,৪০৩ জন এবং মহিলা ৫৬,৭৭৯ জন।